|
---|
ইসরাফিল বৈদ্য, হাড়োয়া : রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় কার্পণ্য নেই রাজনীতিবিদদের। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুখোমুখি শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ও বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীদেরও। তবে এতকিছুর মধ্যেও পবিত্র ঈদের নামাজের ইমামতী করার পরবর্তী এলাকার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অসুস্থ মানুষের খোঁজখবর নিতে বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া এবং যেকোনো বিষয়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার করতে দেখা যায় বিশিষ্ট পীরজাদা মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি এ কে এম ফারহাদকে। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের ত্যাগের উৎসব ঈদ-উল-আযহা দেশজুড়ে পালিত হয়। উল্লেখ্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস দল অনুমোদিত প্রার্থী একেএম ফারহাদ দৈনন্দিন মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি ঈদের নামাজ সমাপ্ত করে নিজের এলাকায় প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিতে সশরীরে উপস্থিত হয়। লক্ষণীয় বিষয় সেখানে কয়েকজন রাজনৈতিক মতানৈক্য ব্যক্তির বাড়িতেও পৌঁছে গিয়ে সৌজন্যে নজির সৃষ্টি করলেন। কখনো পায়ে হেঁটে কখনো বা স্কুটার চেপে বৃষ্টি মাথায় পৌঁছে যায় দুয়ারে দুয়ারে। স্থানীয় বাসিন্দা জব্বার আলীর কথায় বছরের প্রতিটি সময় সুখে দুঃখে যাকে দেখতে পাওয়া যায় আমাদের ঘরের ছেলে ফারহাদকে এভাবে দেখতে পেয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই।কারণ যে কোনো প্রয়োজনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে অতি সহজেই সমাধানের চেষ্টা করে যায়। তার মত কাজের ছেলেকে এই এলাকায় প্রার্থী করার জন্য সাধারণ মানুষ খুবই খুশি।যাকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই সেই দক্ষ সংগঠক কাজের মানুষ ফারহাদ নিলিপ্ত ভঙ্গিতে বলেন মানুষের পাশে থেকে সৌজনের রাজনীতি করাই আমাদের শিখিয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলীয় নেতৃত্বের কথাকে মান্যতা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হিসাবে নৈতিক দায়িত্ব পালন করাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য। বিগত দিনেও এভাবে মানুষের জন্য কাজ করে গেছি, আগামী দিনেও বৃহত্তর কাজের স্বার্থে সাধারণ মানুষের কাছে দলের পক্ষে ভোট প্রার্থী হিসাবে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাওয়া এবং সৌজন্যের নজির তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।