একটানা বৃষ্টি হতেই চিত্রটা বদলে গেল জেলায়! খুশির হাওয়া কৃষক মহলে

এই সম্পর্কিত ভিডিও
লক্ষ্য সবুজায়ন, তাই গাছ লাগানোর পাশাপাশি গাছ বিতরণেও ব্যস্ত এই ব্যক্তি…
বৃষ্টি নামতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল ধান চাষিরা…

    অভাবকে সঙ্গী করেই মনসার পটশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন মৃৎশিল্পী বাচ্চু পাল

    লক্ষ্য সবুজায়ন, তাই গাছ লাগানোর পাশাপাশি গাছ বিতরণেও ব্যস্ত এই ব্যক্তি..

    দক্ষিণ দিনাজপুর : একটানা বৃষ্টি হতেই চিত্রটা বদলে গেল জেলায়। খুশির হাওয়া কৃষক মহলে। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন ধান চাষিরা। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমি তৈরি করে ধানের রোয়া সারলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষকেরা। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে ধানরোপন করার ব্যস্ততা দেখা গেল তুঙ্গে। ক্যালেন্ডারে বর্ষাকাল হিসেবে চিহ্নিত হলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বর্ষার চিহ্নটুকুও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বললেই চলে। তবে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জল জমেছে জমিতে। বৃষ্টির জল পেতেই বর্শালী যে সমস্ত ধান রয়েছে স্বর্ন, গুটি স্বর্ন, শম্পা মাসুরি সেই সমস্ত ধান তড়িঘড়ি লাগাতে শুরু করেছেন জেলার কৃষকেরা।কিছুদিন আগে পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে জল কিনে সেচের মাধ্যমে কিছু কৃষক ধান চাষ শুরু করলেও বেশিরভাগ কৃষকেরা তাদের চাষ বাস শুরু করতে পারছিলেন না অর্থনৈতিক কারণে। কিন্তু বর্তমানে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমিতে জল জমা হতেই খুশি কৃষক মহলে।তবে, চারা রোপন পিছিয়ে যাওয়ায় চারা গাছের বয়স বেড়ে যাচ্ছে৷ দেরিতে রোপন হওয়ায় তত ফলনের পরিমাণ কমতে পারে৷ ফলে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় কৃষক, পাশাপাশি যেসব জমিতে এখনও পাট পচানো হয়নি সেই সব জমিতে আর চাষ হবে না বলে ধরে নিতে হচ্ছে। কৃষি দফতর সূত্রে, এবার ধান রোপণের মরশুম শুরু হলেও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ ধানচাষ মূলত বৃষ্টির জলনির্ভর।জেলায় গত বছর জুন মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান ২৫৬.২ মিলিমিটার, চলতি বছরে জুন মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৫২ মিলিমিটার।জুন মাসে জেলায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ৬০ শতাংশ। গত বছর জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান ২৮২.২ মিলিমিটার। চলতি বছর জুলাই মাসে এখনও পর্যন্ত ২০২.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জুলাইয়ে সেই ঘাটতি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ।তবে, গত তিন-চারদিনে ভাল বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর তাতেই কৃষি অধিকর্তারা জানাচ্ছেন, বৃষ্টিপাতের ঘাটতি প্রায় মিটে গিয়েছে৷