|
---|
শুভদীপ পতি, এগরা : শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচন নয়, শহরে বেড়ে চলা অপরাধ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ অপহরণের মত ঘটনা সহ বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্যেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাজেহাল হতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। তাই নিরাপত্তা বাড়িয়ে অপরাধ প্রবণতা ঠেকাতে এবার ভরসা অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা ভরসা।
সিসিটিভির নজরদারিতে আসতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা শহরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। শহরে ঢোকা এবং বেরানোর বিভিন্ন পথে চলবে এই নজরদারি। ভবিষ্যতে এই ছবি যে কোনো ঘটনার তদন্তে পুলিশ প্রশাসনের হাতিয়ার হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শহরের যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে এবার প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করছে এগরা পৌরসভা ও এগরা পুলিশ প্রশাসন। প্রায় নব্বইটি অত্যাধুনিক ক্যামেরার ঘেরাটোপে শহরের লাইভ ফুটেজ।
এগরা শহরের আয়তন ১৭.২১ বর্গকিলোমিটার। পুরসভায় রয়েছে ১৪ টি ওয়ার্ড। প্রায় ২০৯১৯ জন মানুষের বসবাস এগরা শহরে। এছাড়া প্রতিদিন বেলদা, পটাশপুর, মোহনপুর, খাকুড়দা ছাড়াও অন্যান্য এলাকার বহু সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন কাজের সূত্রে আসেন এগরা শহরে। শহরের চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে এবার হাতিয়ার হয়ে উঠল অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা। এগরা শহরের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দু-বছর আগেই জনবহুল এলাকাগুলিতে সিসিটিভি বসায় এগরা পুর কর্তৃপক্ষ।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার নিরিখে আরও উন্নত মানের ১৪২টি ক্যামেরা বসান হচ্ছে শহর জুড়ে। এগরা ত্রিকোণ পার্ক, দীঘামোড়, সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড, পুরোনো মাছ বাজার, হট্টনাগর মন্দির, কলেজ মোড়, এডিও অফিস সহ একাধিক জায়গায় বসছে সিসি ক্যামেরা। ক্যামেরাগুলির নিয়ন্ত্রণ পুলিশের হাতে তুলে দেয় পুরসভা। পাশাপাশি নিরাপত্তার নিরিখে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে জোরকদমে। এই অবস্থায় সিসি টিভির নজর থাকায় অনেক বেশি নিরাপত্তা বাড়াবে। বাড়বে মানুষের আস্থাও।
পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর বেরা বলেন, আমরা এই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এগরা শহরকে পুরোপুরি মুড়ে ফেলব। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অসামাজিক কাজ যাতে না হয়, তার জন্য শহরে গ্রীণ সিটি প্রকল্পের অর্থের বরাদ্দে ১৪২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এই সিসি ক্যামেরার সমস্ত ফুটেজ থাকবে পুলিশ প্রশাসনের দপ্তরের কন্ট্রোলরুমে। আশাকরি পরবর্তী দিনে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।