ইলেকশন কমিশন না মোদী কমিশন

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে বেনজির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করার জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব মলয় দেকে। এডিজি সিআইডির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টাতেই নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পরেই কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এটা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ নয়, এটা বিজেপি পার্টির নির্দেশ ৷ সেন্ট্রাল ফোর্সকে দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছে বিজেপি৷’’ স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডিকে অপসারিত করায় কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে, এভাবেই কমিশনকে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রশ্ন তুললেন, ‘মঙ্গলবারের ঘটনায় কেন অমিত শাহকে স্যাক করল না কমিশন? ওনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ৷’

    সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করলেন, বৃহস্পতিবার মোদির দুটো জনসভা রয়েছে বাংলায় ৷ তাই এই বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রচারের সুযোগ দিয়েছে কমিশন ৷ দাবি করলেন, অমিত শাহ কলকাতায় দাঙ্গা করতে এসেছিলেন৷ পরিকল্পিত ভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যাসাগর কলেজে হামলা চালানো হয়েছে৷ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মোদি আজ এসেছিলেন কিন্তু কোনও দুঃখ প্রকাশ করেনি৷ বাংলার মানুষ এ জিনিস বরদাস্ত করবে না৷ অন্যায় করেছে অমিত শাহ৷ বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে গেরুয়া পোশাক পরে হামলা চালানো হয়েছে৷ পুরো কলকাতাকে দাঙ্গার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে৷’’

    মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ৷ সেই বিষয়টিও এদিন টেনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিযোগ করেন, বুধবারই অমিত শাহ কমিশনকে হুমকি দিয়েছে৷ সেজন্যই এই পদক্ষেপ৷ বাংলা জম্মু-কাশ্মীর নয়, বিহার নয়, উত্তরপ্রদেশ নয়, ত্রিপুরা নয়৷ চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি জানান, তাঁকে এবং বাংলার মানুষকে ভয় পেয়েই মোদি-শাহরা কমিশনকে দিয়ে একাজ করাচ্ছে ৷ যেহেতু কমিশনের নির্দেশে প্রচারের সময় একদিন কমে গিয়েছে, তাই প্রচারেও কাঁটছাঁট করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ শুক্রবারের সমস্ত সূচি বৃহস্পতিবারে এগিয়ে নিয়ে আসেন তিনি৷