প্রায় পঞ্চাশ ষাট বছর আগে খুঁজে পাওয়া একটি ভগবান শিবের পাথর কেন্দ্র করে এই মন্দির হয়ে ওঠে বাবা বেকারেরস্বরের মন্দির

নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রায় পঞ্চাশ ষাট বছর আগে হিন্দমোটরের স্থানীয় কিছু বাসিন্দা গঙ্গায় চান করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি ভগবান শিবের পাথর। পাথরটিকে হিন্দমোটরের বাজার ভূপেন্দ্রস্মৃতি প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন এলাকায় একটি বটগাছের নিচে স্থাপন করা হয়। পাড়ার কিছু বেকার যুবকরা মিলে তৈরি করেন ওই মন্দির এবং তার নামকরণ করেন বাবা বেকারেশ্বর মন্দির। তার পাশে তৈরি হয় একটি চায়ের দোকান। স্থানীয় বেকার যুবকরা ঠিক করেন তারা সেই চায়ের দোকান পালাবদল করে চালাবেন। কেউ যদি চাকরি পেয়ে যায় তাহলে তাকে সেই দোকান ছেড়ে দিতে হবে। এভাবেই শুরু হয় বাবা বেকারের মন্দির ও তার চায়ের দোকান।নামকরণের তাৎপর্য তখন ধরা পড়ল যখন আশ্চর্যভাবে একের পর এক চায়ের দোকান চালক বেকার যুবক বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করলেন। এমনকি এই দোকান চালাতেন এমন একজন যিনি পরবর্তীতে একটি সরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পদে চাকরি পান। বেকার যুবকদের কাছে এই মন্দির হয়ে ওঠে বাবা বেকারেরস্বরের মন্দির।

     

    এ বিষয়ে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেকার ছেলেদের কর্মসংস্থানের জন্য তৈরি হয়েছিলএই চায়ের দোকান। এই দোকান চালাতে চালাতেই অনেকে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছেন। চায়ের দোকানের কর্মচারী পরবর্তীতে একে একে বিভিন্ন চাকরিতে যোগদান করেন। এভাবেই ক্রমেই বেড়ে ওঠে বাবা বেকারেরস্বরের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা।চায়ের দোকানের বর্তমান কর্মরত ব্যক্তি জানান, এলাকার স্থানীয় বেকার যুবকরাই পালা করে চালাতেন এই দোকান। একসময় তিনিও কাজ হারিয়ে বেকার হন তারপর থেকে বেকারেশ্বরের চায়ের দোকান তিনি চালাচ্ছেন। তিনি পরবর্তীতে যদি অন্য কোন কাজ পান তাহলে তাকে এই চায়ের দোকান ছেড়ে দিতে হবে পরবর্তী বেকার যুবকের জন্য।