|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মিজোরামে নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে পড়ে মারা গিয়েছেন বহু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্য সরকার উদ্যোগ নেওয়ার পরই তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ, শুক্রবার সকালেই মালদা যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বন্দে ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও তাতে যেতে পারলেন না। কারণ তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তাই স্পেশাল ট্রেনে রওনা দিলেন রাজ্যপাল। মিজোরামে সেতু বিপর্যয়ে মালদার ২৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এবার সেই সব শ্রমিক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই রাজ্যপাল মালদা যাচ্ছেন বলে খবর মিলেছে রাজভবন সূত্রে।এদিকে বুধবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে মিজোরামের আইজলে। সেখানে কাজ করার সময় শ্রমিকরা দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন। আচমকাই ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মাণ রেল সেতু। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় বাংলার ২৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকরা সকলেই মালদার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে ১১ জন শ্রমিক রতুয়া–২ ব্লকের পুখুরিয়া পঞ্চায়েতের চৌদুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া মৃত শ্রমিকদের তালিকায় ইংরেজবাজারের পাঁচ, গাজল এবং কালিয়াচকের একজন করে পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রয়েছে। এখানে ছুটে আসেন রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে সেখানে যান রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও। এবার রাজ্যপাল মালদায় যাচ্ছেন বলে খবর।অন্যদিকে এই দুর্ঘটনার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে শোক প্রকাশ করেছিলেন। একই সঙ্গে বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে দাবি বলেছিলেন, ‘রেলের কাজ করতে গিয়ে কারও মৃত্যু হলে মৃতের পরিবারকে চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকেই। আমি রেলের কাছে এটা জানাব। কারণ তাঁরা আপনাদের রেলের কাজ করতে গিয়ে মারা গিয়েছে। রেল তার দায়বদ্ধতা অস্বীকার করতে পারে না।’ তারপরই মালদায় রাজ্যপালের সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বাংলার মৃত মানুষজনের পরিবারের প্রতি। এবারও উদ্যোগ নিতে চলেছেন। সেখানে আগ বাড়িয়ে রাজ্যপালের প্রবেশ চর্চিত হচ্ছে।আর কী জানা যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, রাজ্য সরকার তার মতো করে ব্যবস্থা নেবে। এটা নিয়ে রাজনীতি নিষ্প্রয়োজন। আর মালদার জেলাশাসক নীতীন সিংহানিয়া বলেন, ‘প্লাস্টিক, কার্পেট ক্লাস্টার জেলায় তৈরি হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাতে জেলায় কাজ করতে পারেন তার জন্য ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকার ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের যুক্ত করার কাজও চলছে।’ অর্থাৎ ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দেওয়া আটকাতেই এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।