গ্রন্থ-প্রকাশনা ও সারস্বত-সত্র প্রকল্প ‘পুরীপরাগ’-এর আলোচনা-কক্ষে স্মারক-বক্তৃতা

সংবাদদাতা : ২৮শে সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৫ ঘটিকায় মহামহোপাধ্যায় বেদবিদ্যাবারিধি অমরকুমার চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে ‘ডঃ কৃষ্ণা বক্সী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট’-এর উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের অধীন সামাজিক-শিক্ষা শাখার অন্তর্গত গ্রন্থ-প্রকাশনা (Publication) ও সারস্বত-সত্র (Seminar) প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থানুকূল্যে ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ভবন ‘পুরীপরাগ’-এর আলোচনা-কক্ষে স্মারক-বক্তৃতা এবং অধ্যাপক চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ও সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার হতে প্রকাশিতব্য “প্রবন্ধ-সংকলন” শীর্ষক গ্রন্থের প্রচ্ছদ উন্মোচনের অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হল। অনুষ্ঠানের প্রথমেই বৈষ্ণবীয় রীতি অনুযায়ী রাধাকৃষ্ণের প্রতিকৃতিতে পুষ্পপ্রদান করা হয়। এরপর শ্রীমতী স্বপ্না রায় চৌধুরীর কণ্ঠে উদ্ঘোষিত বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, বেদগান ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। বিশেষ অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেছিলেন অধ্যাপক অমরকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সহধর্মিণী দেশবন্ধু বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকা শ্রীমতী ছন্দা চট্টোপাধ্যায়, তাঁর স্মৃতিতর্পণ শ্রোতাদের হৃদয় মথিত করে। বিশেষ অতিথি প্রাবন্ধিক শ্রী বিনায়ক সেনগুপ্তের ‘আচার্যতর্পণ’ বিষয়ক বক্তৃতা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ মনোগ্রাহী, যা ছাত্রছাত্রীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। এরপর একে-একে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক চট্টোপাধ্যায়ের স্নেহাপদ্ শিক্ষার্থীরা– কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপিকা ডঃ দীধিতি বিশ্বাস, সোদপুর হাই স্কুলের শিক্ষক শ্রী বিবেকানন্দ কাঞ্জিলাল। পরিশেষে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক চট্টোপাধ্যায়ের সহকর্মী আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডঃ দেবব্রত মারিক। এঁদের সকলের বক্তৃতাই ছিল সারগর্ভ ও হৃদয়স্পর্শী।অনুষ্ঠানে অন্তিম ভাষণ দেন বিবেকানন্দ কলেজের ইতিহাস বিভাগের অতিথি অধ্যাপক শ্রী শুভজিৎ দাস, তাঁর বিষয় ছিল ‘বেদের দৃষ্টিতে নারী’। ইনস্টিটিউটের কর্ণধার পুরীপ্রিয়া-র কাজ ছিল সূত্রধরের। অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র। স্বপ্নার কণ্ঠে উচ্চারিত ঋগ্বৈদিক দেবীসূক্তের সুরঝঙ্কার আর ইনস্টিটিউটের কুলগীতের (সরস্বতী-বন্দনার) মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।আজকের অনুষ্ঠানের পাঁচ নক্ষত্র প্রথিতযশস্বিনী শিক্ষিকা শ্রীমতী ছন্দা চট্টোপাধ্যায়, প্রাবন্ধিক শ্রী বিনায়ক সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ডঃ দেবব্রত মারিক, অধ্যাপিকা ডঃ দীধিতি বিশ্বাস, শিক্ষক শ্রী বিবেকানন্দ কাঞ্জিলাল ছিলেন স্বমহিমায় দেদীপ্যমান।