চাঁচলে সম্প্রীতির নজির,হিন্দু ভাইয়ের রক্ত পেল মুসলিম বোন

 

    উজির আলি,নতুন গতি,চাঁচল:২০ মার্চ

    রক্ত বোঝেনা ধর্ম,চেনে শুধু লাল রঙ।যা মিলিয়ে দেয় মানুষের মধ‍্যে।তেমনই এক সম্প্রীতির ছবি দেখা গেল মালদহের চাঁচলে।এক হিন্দু ভাইয়ের রক্ত গেল মুসলিম বোনের দেহে।রক্ষা পেল আক্তারী খাতুন।দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে রক্তের সংকট দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে। মুমূর্ষু রোগী ,থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের পরিবারকে একফোঁটা রক্তের জন্য এক ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক থেকে আরেক ব্ল্যাডব্যাঙ্ক ছুটতে হলেও সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি এগিয়ে আসাই কিছুটা হলেও রেহাই মিলছে।তবে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল মালদহের চাঁচল থানার দেবীগঞ্জ গ্রামের আক্তারীকে।আক্তারীর বয়স ২৫ বছর।চারিদিন আগে গর্ভাবস্থার কারনে শরীর খারাপ থাকায় ভর্তি হয়েছিল চাঁচল হাসপাতালে।দেহে রক্তের পরিমাণ কম থাকায় প্রয়োজন হয়ে ওঠে ‘এ’ নেগেটিভ(A-) রক্তের।লকডাউনের পর থেকে স্বামী কলকাতাঋ রাইস মিলের কর্মী হিসেবে কাজ করেন।এক ভাইপো তার কাকিকে হাসপাতালে ভর্তি করান।মূলত ‘এ’ নেগেটিভ বিরল প্রজাতির।তাই খোঁজ মিলছিল না।হন‍্য হয়ে খোঁজ চালিয়ে এক হোয়াটস‍্যাপ গ্রুপ পাওয়ার অফ হিউম‍্যানিটির সন্ধ্যান পায়।সদস‍্যদের কাছে রক্তের জন‍্য অনুরোধ জ্ঞাপণ করলে তারাই রক্তদাতার সন্ধ্যান দেয়।
    পাওয়ার অফ হিউম‍্যানিটির সদস‍্যদের আবেদনে সাড়া দিয়ে শনিবার চাঁচল হাসপাতালের ব্লাড ব‍্যাঙ্কে ওই গর্ভবতী মহিলার জন‍্য এক ইউনিট ‘এ’ (A-) নিগেটিভ রক্ত দেন সঞ্জয় চক্রবর্তী।তার বাড়ি চাঁচলেই।রক্তদাতা পেশায় পান মশালার হকার বলে জানিয়েছেন পাওয়ার অফ হিউম‍্যানিটির সদস‍্যরা।
    সঙ্কটজনক মুহুর্তে বিরল প্রজাতির রক্ত পেয়ে স্বস্তি মিলেছে রোগীর পরিবারকে।সঞ্জয়কে ধন‍্যবাদ জানিয়েছেন।সঞ্জয় বলেন,রক্ত দিয়ে মানুষের প্রান বাঁচবে।সঙ্কটজনক মুহুর্তে মানুষকেই এগিয়ে আসা উচিত।পাওয়ার অফ হিউম‍্যানিটির সদস‍্য রাইহান হোসেন,সৌম‍্যশ্রী সাহা বলেন,আমরা শুধু আজকে নই!লকডাউনেও একাধিক মুমুর্ষু রোগীর পাশে দাড়িয়েছি।এবং আজও তা অব‍্যাহত রয়েছে।সামাজিক জনজীবনে মানুষ মানুষেরই ভরসা।