|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম : রাজনগরে খিচুড়ি প্রসাদ খেয়ে মৃতের স্ত্রীকে জেলা পরিষদের তরফে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজনগরের মালিপাড়া গ্রামে লক্ষ্মী পূজার উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও ভক্তদের খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ বছরও কয়েক হাজার ভক্তকে ওই খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হয়। দুর্ভাগ্যবশত বাসি খিচুড়ি প্রসাদ খেয়ে মালিপাড়া এবং ছোট বাজার গ্রামের বেশ কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরে পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় তাদের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে ছোট বাজার গ্রামের পাঁচ বছরের একটি শিশুর এবং মালিপাড়া গ্রামের ৪৫ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সে সময় স্থানীয়দের পাশে দাঁড়ান ব্লক প্রশাসন পুলিশ ও স্থানীয়রা। সাহায্যের হাত বাড়ায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর। অসুস্থ সমস্ত ব্যক্তি এবং মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের আর্থিক সাহায্য করেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক ওরফে কাজল শেখ। মৃতদের দুই পরিবারকে বিশেষভাবে আর্থিক সাহায্য করেন কাজল শেখ। সে সময়ই মৃত সুশান্ত মালাকার ওরফে মুকুল মালাকারের স্ত্রী শিউলি রানী মালাকার যে কোনো ধরনের ছোটখাটো একটি চাকরির জন্য কাতরভাবে আবেদন করেন। তার পরিবারের রোজগারের একমাত্র সম্বল তার স্বামী ছিলেন, তিনি মারা যাওয়ায় এখন সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন । তার দুইটি সন্তান রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে পরে যাতে দিনযাপন করতে পারেন, সেজন্য যেকোনো ধরনের ছোটখাটো একটি কাজের জন্য তিনি আবেদন করেন। কাজল শেখ তাকে কথা দেন তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। মঙ্গলবার বীরভূম জেলা পরিষদ অফিসে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুকুমার সাধুকে নিয়ে মুকুল মালাকারের স্ত্রীর হাতে একটি চাকরি একটি চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির একটি নিয়োগপত্র তুলে দেন। বীরভূম জেলা পরিষদের তরফে মুকুল মালাকারের স্ত্রীকে চতুর্থ শ্রেণীর এই চাকরির নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হল। রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা রাজনগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুকুমার সাধু জানিয়েছেন তৃণমূল সরকার সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।