নামফলক বিতর্কের মাঝেই এবার কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ বিশ্বভারতীর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের

দেবজিৎ মুখার্জি, বীরভূম: নামফলক বিতর্কের মাঝেই এবার কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই আধিকারিক রবীন্দ্র ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত। শুক্রবার সকালেই সোশাল মিডিয়ায় পুলিশ, প্রশাসন, বোলপুর ও শান্তিনিকেতনবাসীর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এদিন তাঁর পোস্ট দেখেই শান্তিনিকেতনে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ তৈরি হয়। শান্তিনিকেতনের পড়ুয়া এবং বাসিন্দারা রবীন্দ্র ভবনের সামনে ছুটে যান, তাঁর পাশে দাঁড়াতে।

    বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়া লেখেন, বৃহস্পতিবার উনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, রাত্রে বাড়ি ফিরেছেন। এরই মাঝে বিশ্বভারতীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নির্দেশ অনুযায়ী দুজন অধ্যাপক তাঁকে ফোন করে জানান, শুক্রবার অফিসে না যেতে। উচ্চপদস্থ কর্তারা মৌখিকবার্তাও দেন। নীলাঞ্জনবাবু এর পর লেখেন, ”তাঁরা অনুরোধ করেন, আমি যেন শুক্রবার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ না করি। সম্পূর্ণ দূরে অন্য এক বিভাগে গিয়ে আজকের দিনটা বসে থাকি। আমি এই রহস্যময়, অনৈতিক, কুরুচিকর, অপেশাদার এবং সন্দেহজনক প্রস্তাবের কোনও কারণ অথবা যুক্তি খুঁজে পাইনি। ফলে তাঁদের জানাই যে, এই মর্মে আমাকে যথাযথ মাধ্যমে কোনও লিখিত নির্দেশ না দিলে আমি আমার নিজের কাজের জায়গায় শত বাধা বা বিপদ থাকলেও যাব।”

    পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, ”তা সত্ত্বেও আমি আজ সকাল সাড়ে নটায় আমার কর্মক্ষেত্রে রোজকার মতোই ঢুকব। ওখানে আমি ওই উচ্চপদস্থ কর্তা অথবা তাঁর নিযুক্ত কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিবর্গের হাতে আমার প্রাণহানির আশঙ্কা করছি।” নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং বোলপুরবাসী ও অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা করে ফেসবুক পোস্টে হইচই পড়ে যায়। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী স্থানের মধ্যে অন্যতম রবীন্দ্রভবন। মিউজিয়াম-সহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবনগুলি রয়েছে সেখানে। ওই ভবনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত রয়েছেন নীলাঞ্জনবাবু। সোশাল মিডিয়ায় করা পোস্টের পরে তিনি উপাচার্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে একটি কবিতাও পোস্ট করেন। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, প্রাণহানির আশঙ্কার বিষয়টি ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থানায় জানিয়েছি। যদিও বিশ্বভারতীর তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।