গাজার আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইজরায়েল

নিউজ ডেস্ক: গাজার আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইজরায়েল। সাধারণের মৃত্যুতে নিন্দায় সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। পালটা, ইজরায়েলের দাবি, গাজার হাসপাতালগুলোকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করছে হামাস। ভবিষ্যতেও তারা তাই করবে। ইজরায়েলি সেনার প্রশ্ন, জেহাদিদের এহেন কার্যকলাপ থামাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চ কী পদক্ষেপ করবে?

    গত কয়েকদিন ধরে হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজার হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। তাদের অভিযোগ সেখানে রয়েছে জেহাদিদের কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রভাণ্ডার। তীব্র লড়াই চলেছে গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায়। হামাসের ডেরা থাকার প্রমাণ পেশ করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। তবে সমালোচনা থামেনি। এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়াল হাগারি। এক্স হ্যান্ডেলে আইডিএফের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘হামাস জঙ্গিরা গাজার হাসপাতালগুলোকে সন্ত্রাসের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করছে। সেগুলোকে কমান্ড সেন্টারে পরিণত করে সামরিক কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। হাসপাতালগুলোকে ঢাল করে নিজেদের সুরক্ষিত করছে জঙ্গিরা।”

    তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আমাদের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়েছে। ভবিষ্যতে গাজার হাসপাতালগুলো যাতে আর সন্ত্রাসের আখড়া না হয়ে ওঠে তার জন্য আপনারা কী পদক্ষেপ করবেন? আপনারা কি এবার হামাসের নিন্দায় সরব হবেন? নাকি এখনও চুপ করে থাকবেন? আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই ইজরায়েলের লড়াই হামাসের সঙ্গে। গাজার সাধারণ মানুষের সঙ্গে নয়।” বলে রাখা ভালো, গাজার আল শিফা ও র‍্যানটিসি হাসপাতালে হামাসের বাঙ্কার, সুড়ঙ্গের একাধিক ভিডিও প্রকাশ করেছে আইডিএফ।

    উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে চলছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। কিন্তু এবার চারদিনের জন্য ছেদ পড়তে চলেছে এই সংঘাতে। বুধবার সকালে ইজরায়েলের ক্যাবিনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক হয় ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার হামাসের প্রস্তাব মেনে চার দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ইজরায়েলও তাদের হাতে বন্দি ১৫০ প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দেবে।