জমি নিয়ে বিবাদ,ব্যবসায়ীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা! উত্তপ্ত এলাকা

নতুন গতি,মালদা: জমি বিবাদ নিয়ে সরগরম এলাকা,কাঠগড়ায় শাসক দলের নেতা,কটাক্ষ বিজেপির,তদন্তে পুলিশ, অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের! জমি জবর দখল মুক্ত করার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাধা দেওয়ায় দুই মহিলাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ওই ঘটনারে ঘিরে দুপুর থেকেই তেতে ওঠে এলাকা। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের জায়গা দখল করে পাঁচিল দিয়েছেন ব্যবসায়ী। পঞ্চায়েতের তরফে তিনদিনের মধ্যে ওই পাঁচিল সরানোর জন্য ব্যবসায়ীকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। নয়তো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল। ব্যবসায়ীর অবশ্য দাবি, তারা পঞ্চায়েতের কোনও জমি দখল করেননি। নিজেদের জমিতেই পাঁচিল তুলেছেন। কিন্তু উত্তরের অপেক্ষা না করে বেআইনিভাবে ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে দুর্জয় আবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি। হামলায় বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও মাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তৃণমূল অবশ্য ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয়রা হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি করেছে। যদিও তৃণমূলই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    পুলিশ, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী পবন কেডিয়া মাস দুয়েক আগে বাড়ির সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে নেন। কিন্তু যাতায়াতের রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিন তৃণমূলের স্থানীয় সদস্য জয়ন্তী দাসের ছেলে দুর্জয় দাস দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী নিজের জমিতে পাঁচিল দিয়েছেন দাবি করে ফের নতুন করে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু করেন। তারপর ফের বিপক্ষ চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় দুই মহিলাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

    ব্যবসায়ী পবন কেডিয়া বলেন, আমরা বেআইনিভাবে কোনও জমি দখল করে রাখিনি! তৃণমূল গায়ের জোরে চড়াও হয়ে হামলা করে। বৃদ্ধ বাবা, মা ও আমার স্ত্রীকেও মারধর করে।

    বিজেপির জেলা সম্পাদ কিষান কেডিয়া বলেন, তৃণমূলের একাংশ দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে থানার সামনে যেভাবে ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর, মারধর করে তা লজ্জাজনক। কেউ জবর দখল করে থাকলেও এভাবে হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেছেন, ” তৃনমূল নেতা বলাটা ঠিক নয় | যুব তৃণমূলে আছে যাকে জেলার যুব সভাপতি জায়গা দিলেও দল দেয়নি | আর কোনো সমাজবিরোধী কাজকর্ম করলে প্রশাসনের উচিত পদক্ষেপ নেওয়া | ”

    ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর, শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সরব হয়েছেন অনেকেই |