এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি কবীর সুমন

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি কবীর সুমন। এদিন ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তিনি। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে।

    ৭২ বছরের এই প্রবীণ সংগীত শিল্পীর গলায় প্রবল ব্যাথা রয়েছে, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর  র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। সেই টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁর আরটি পিসিআর টেস্ট করা হয়েছে। সেই টেস্টের রিপোর্ট এলে চিকিৎসকরা সেই অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    বিকেলে অসুস্থ কবীর সুমনকে দেখতে এসএসকেএমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বামফ্রন্টের আমলে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন কবীর সুমন। জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে যাদবপুর লোকসভা আসন থেকে জিতেছিলেন তিনি। তাঁকে দলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে নিয়মিত দেখা যেত। কিন্তু কিছুদিন পর তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। যদিও পরে সেই দূরত্বের অবসান ঘটে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারী  ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে  নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিরোধিতা করে কলকাতার  গড়িয়াহাটে ধরনায় বসেছিলেন কবীর সুমন।

    এবারের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কবীর সুমন। আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন কবীর সুমন।তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন হাস্যকর ফরমান জারি করেছে। কমিশনের স্বাতন্ত্র্য বিপন্ন বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন।

    উল্লেখ্য, কবীর সুমন একজন বিশিষ্ট আধুনিক ও রবীন্দ্রসংগীত গায়ক। ১৯৯২ সালে তাঁর ‘তোমাকে চাই ‘ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি বাংলা গানে এক নতুন ধারার সূচনা  করেন। তার স্বরচিত গানের অ্যালবাম রয়েছে বেশ কয়েকটি ।  একাধারে গীতিকার, সংগীতকার থেকে গায়কের পাশাপাশি অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজস্ব প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।

    আপাতত তাঁর অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। শিল্পীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন তাঁরা।