|
---|
সুবিদ আলি মোল্লা, নতুন গতি : গত বছর সাড়ম্বরে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ উদযাপিত হলো। আর আগামী বছর কবির ১২৫তম জন্ম বর্ষ। সারাবিশ্বে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রচুর মূর্তি স্থাপিত হয়েছে, এখনও স্থাপিত হচ্ছে। একদা টাকি পৌরসভা ও হাসনাবাদ বাস স্ট্যান্ড বাজার কমিটি ও মনীষী স্মৃতি রক্ষা কমিটি, হাসনাবাদ- এর উদ্যোগে দু’দুবার ১১ জ্যৈষ্ঠ্য ১৪১৪ ও ১২ আশ্বিন ১৪১৮ তারিখে ইছামতি নদীর তীরে নজরুল সৈকতে কাজী নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তি স্থাপিত হয়েছিল। মূর্তিটি এখনো রয়েছে। কিন্তু তার নিচের অংশ জলের ঢেউয়ে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কোন সময় এই মূর্তি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি লক্ষ্য করে বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকি পৌরসভার পৌরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়কে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে দ্রুত মূর্তি সংরক্ষণের অনুরোধ করা হয়। পৌরপ্রধান জানান, ইতোমধ্যে তিনি মহাকুমা শাসককে এ ব্যাপারে বলেছেন। তিনি আরও জানান পৌরসভার তহবিল থেকে সাধ্যমত এই মূর্তি সংরক্ষণের চেষ্টা করা হবে। এছাড়া হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকেও আজ একটি স্মারকলিপি দিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের মূর্তির যথাযথ সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়। হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গৌতম কয়াল স্মারকলিপি গ্ৰহণ করেন। এতদুপলক্ষে নজরুল চর্চার কেন্দ্র, বারাসাত-এর সভাপতি তথা হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শেখ কামাল উদ্দীন জানান, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত হই এবং তৎক্ষণাৎ টাকি পৌরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় ও হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন এবং কিভাবে এই মূর্তি সংরক্ষণ করা যায় সে ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করছেন বলে জানান।’ আজকে এই স্মারকলিপি প্রধান অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক শাহজাহান মন্ডলসহ নজরুল চর্চা কেন্দ্র, বারাসাতের সদস্য শামীম ভড়, কিঙ্কর মণ্ডল, গোলাম মার্তুজা, আব্দুস সামাদ, তাপস দাস, সমরেশ সরদার এবং টাকি নাগরিক সমিতির সম্পাদক প্রণব সরকারসহ টাকি কলেজের ছাত্র সংসদের সম্পাদক ফারুক গাজী এবং টাকি এলাকার বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।