মঙ্গলবার হাই কোর্ট চত্বরে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা হাই কোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা : নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা হাই কোর্ট । মঙ্গলবার হাই কোর্ট চত্বরে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। এমনকী, একপক্ষের আইনজীবী অপরপক্ষের সদস্যদের কামড়েও দেয়। এদিনের অশান্তির জেরে জখম হয়েছেন দু’ জন আইনজীবী। হাই কোর্টের মেডিক্যাল ইউনিটের পক্ষ থেকে তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে একদল আইনজীবী পুলিশের সাহায্য চান। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এজলাসে ডেকে আনেন রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও। তিনি কিছু নির্দেশও দেন তাঁকে। পরে প্রধান বিচারপতি বলেন,”হাই কোর্টের মধ্যে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, “বারের বৈঠক নিয়ে আদালতের কিছু করার নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতেই পারে।” কিছুক্ষণ পর প্রধান বিচারপতি এজলাস ছেড়ে উঠে যান।সম্প্রতি একাধিক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ রাজ্যের বিরুদ্ধে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিচারপতির বিরুদ্ধে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠিও লিখেছেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। সূত্রের খবর, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনে তাঁর এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক ডাকা হয়েছিল এদিন। এই বৈঠক ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান বারের সভাপতি অরুণাভ ঘোষ। জানান, “অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা বাতিল করা হল। উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় বৈঠক বাতিল করা হয়। তাই বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।”

    পরে হাই কোর্টে তাঁকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। পালটা সরব হন অরুণাভপন্থী আইনজীবীরা। এর পরই দু’ পক্ষের আইনজীবীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অশান্তির জেরে জখম হন একাধিক আইনজীবী।