|
---|
নবাব মল্লিক, মথুরাপুর: শুধু নাবালিকার বিবাহ রুখে দেওয়ায় নয়, হোস্টেলে রেখে নাবালিকার পড়াশোনার সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করে নজির গড়ল কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি। তাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন আজ মথুরাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্রী গৌতম সাহা,মথুরাপুর ১ এর বি ডি ও মোঃ জামিল আখতার মহাশয়। যেটি জানা যাচ্ছে যে শুক্রবার সকালে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের মহাশয়ের কাছে একটি ফোন আসে যে তার স্কুলেরই নবম শ্রেণির ছাত্রী রুহিণা শেখের বিবাহ সম্পন্ন হতে চলেছে স্থানীয় ফারুক মীরের সঙ্গে। উদগ্রীব হয়ে পড়েন তিনি এই খবর শুনে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন মথুরাপুর থানায়। ছেলেটির বাড়ির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর রাত্রি সাড়ে নটা নাগাদ মথুরাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্রী গৌতম সাহা,মথুরাপুর ১ এর বি ডি ও মোঃ জামিল আখতার মহাশয়ের সহযোগিতায়,স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বিদ্যালয় ছাত্রীনিবাসে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারের পর কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান মেয়েটির পিতা খুব গরীব মানুষ। আসামে মুরগির বাচ্চা ফেরি করে। চার ভাই বোনের সংসারে ও সবার ছোট। হোস্টেলে থেকেই ও পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। পড়াশোনা চালানোর জন্য যাবতীয় খরচ তিনি বহণ করবেন। এ ব্যাপারে মথুরাপুর নং বিডিও অফিসার জামিল আখতার জানান বাল্যবিবাহ রুখতেই তাদের এই উদ্যোগ। যাতে সাধারণ মানুষের মনের একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই ঘটনায় জেলা প্রধান শিক্ষক ও পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।