|
---|
শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি, রানাঘাট:
এক রাজনৈতিক আবহে উগ্র সমর্থকদের ক্রীড়া ও ক্রীড়াবিদদের ছবি ধরে টানাটানির মধ্যেই অন্য এক রাজনৈতিক জগতের সঙ্গে জড়িত নেতা-মন্ত্রীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্যোগের ছবি নজর কেড়ে নিল।
সম্প্রতি রানাঘাট সাংসদ তাপস মন্ডলের এম.পি কাপ চ্যাম্পিয়নশিপ -২০১৯, প্রতিযোগিতা ঘিরে ক্রীড়া প্রেমী দর্শক, ক্রীড়াবিদ ও বিধায়ক-মন্ত্রী এবং সাধারণ মানুষের আবেগ ভরা উপস্থিতিতে সমাজের সর্বস্তরের পারস্পরিক সম্পর্কের মেলবন্ধন ছিল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সত্যিই দৃষ্টান্তযোগ্য।
রবিবার , নদিয়ার রানাঘাট নাসরা স্কুলে ছিল ‘এমপি ফুটবলকাপ-২০১৯’ -এর ফাইনাল
নবদ্বীপ বনাম শান্তিপুর। এদিনের খেলার মাঠে আকর্ষণ যেমন ছিল উভয় দলে নাইজেরিয়ান ফুটবলার তেমনই প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার প্রখ্যাত ক্রীড়াবিদ সাংসদ প্রসূন মুখর্জ্জী।
খেলার প্রথমার্ধ কেটে যায় টানটান উত্তেজনায় সমানে সমানে।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোলটি করেন শান্তিপুরের পক্ষে নাইজিরিয়ান তারকা ফুটবলার জাস্টিস। জাস্টিস- এর হেড দিয়ে করা দুধর্ষ গোলটি শান্তিপুর কে জয়ের পথে খানিকটা এগিয়ে রাখে। তবে কিছুক্ষনের মধ্যেই পাল্টা প্রশংসা সূচক গোলটি করেন জয়দেব পাল নবদ্বীপের হয়ে। এর পর
আক্রমণ প্রতি-আক্রমনের মধ্যে দিয়েই খেলা চলে চূড়ান্ত গতিতে। শান্তিপুর- নবদ্বীপ ১:১ ফলাফল নিয়ে খেলা অমিমাংসিত থেকে যায়।
জয়ের জন্য আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হয় সকলকে। রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর ট্রাই বেকারই উভয় দলের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
ট্রাইব্রেকারে জয় সূচক গোলটি আসে নবদ্বীপের পক্ষে পসিনের পায়ে পায়ে। শেষে ৪- ৩ গোলে নবদ্বীপ জয়ী হয়। রানার্স শান্তিপুর ষাট হাজার এবং উইনার্স নবদ্বীপ একলক্ষ টাকা পুরস্কারের চেক এবং উভয় দল ও খেলোয়াড়দের ট্রফি দেওয়া হয়।
সাধারণ দর্শকের সঙ্গে রাজনৈতিক তারকারাও খেলা উপভোগ করেন সমান ভাবে।
অনন্যাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, রাজ্য মন্ত্রীসভার সদ্য নিযুক্ত মন্ত্রী রত্না ঘোষ, বিধায়ক নীলিমা নাগ, রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস,শংকর সিংহ এবং সকলের মধ্যমনি রানাঘাট লোকসভার সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস মন্ডল।
উপস্থিত ছিলেন আকাশবাণী ও দুরদর্শন কলকাতা কেন্দ্রের প্রাক্তন ফুটবল ক্রীড়া ধারা ভাষ্যকার নিলমেশ চৌধুরী।
মূলত তৃণমূল সাংসদের ব্যবস্থাপনা ও নামিত এই ফুটবল কাপ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হলেও খেলার মাঠে জাতি-ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে ক্রীড়ামোদী দর্শকদের উপস্থিতি ও আগ্রহ ছিল সীমাহীন প্রশংসনীয়।