সঙ্কটে কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:- চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মীর অভাবে সঙ্কটে কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Maharaja Jitendra Narayan Medical College and Hospital) পরিষেবা। কোচবিহারের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এলাকার বিজেপি বিধায়ক। সমস্যার কথা স্বীকার করে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।রোগী আছে, অথচ প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক নেই। হাতেগোনা চিকিৎসক দিয়েই চলছে পরিষেবা। এই ছবি কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের। বছরভর হাসপাতালে রোগীদের ভিড়। অথচ জেলার একমাত্র মেডিক্যাল কলেজে নেই কোনও ট্রমা কেয়ার ইউনিট। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আশঙ্কাজনক কোনও রোগী এলে তাঁকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ মোট চিকিৎসকের ২০% পদই শূন্য পড়ে রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম নার্স থেকে সাফাই কর্মীর সংখ্যাও।এর মধ্যে আবার কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সের বদলির নির্দেশ এসেছে বলে সূত্রের খবর। এই বদলির নির্দেশ কার্যকর হলে, কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিষেবায় আরও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা।চিকিৎসক ও নার্স ও অন্যান্য কর্মী সংখ্যা কম থাকার কথা স্বীকার করে নিলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এখনও পর্যন্ত পরিষেবায় কোনও সমস্যা পড়েনি। হাসপাতালের বর্তমান হাত নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে শাসক-বিরোধী তরজা। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নতিতে ডাক্তার নার্স প্রয়োজন। রাজ্যে ৩০০ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট কিন্তু কোচবিহার মেডিকেল কলেজের জন্য জুটেছে মাত্র দু’জন। মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমজেএন হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির তথা চেয়ারম্যান তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কেন্দ্র তো কোনও সাহায্য করে না, তাহলে আবার এত কথার কী আছে? হাসপাতালে কিছু সমস্যা আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব যাতে হাসপাতালে নিয়োগ হয়। চিকিৎসকের সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে বদলি হলে আরও অসুবিধা হবে। নতুন চিকিৎসক ও কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’’ শুধু আশ্বাসে চিড়ে ভিজবে না, কবে কোচবিহারের গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে বাড়বে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা, সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন স্থানীয়রা।