মসাগ্রামে গীতা রানী আই.টি. আই. এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী

লুতুব আলি : মসাগ্রামে গীতা রানী আই.টি. আই. এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী। পূর্ব বর্ধমান জেলার মশাগ্রামে গীতা রানী আই.টি. আই বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক মনন তৈরি করতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ১৫ জুলাই এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রজেক্ট ভিত্তিক তাক লাগানো একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এই আই.টি. আই এর প্রতিষ্ঠাতা গিতা রানী ভট্টাচার্য। স্বাগত ভাষণ দেন গীতা রানী আই টি আই এর প্রিন্সিপাল রাজীব ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে রাজিব ভট্টাচার্য বলেন, এখান থেকে পাশ করে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। এই কর্মকেন্দ্রিক বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য হল শিল্প উদ্যোগী তৈরি করা। ২০১৫ সাল থেকে এই আই টি আই সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু শিল্পপতি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাজির করানো হয়েছিল। এঁদেরকে দেখে শিক্ষার্থীরা যাতে অনুপ্রাণিত হয় সেই কারণেই তাঁদেরকে হাজির করানো হয়েছিল বলে রাজীব বাবু জানান। এই আই টি আই আই টির ফিটার ও ইলেকট্রিশিয়ান এর দুটি ট্রেডের ছাত্রছাত্রীরা নজর করার মতো প্রজেক্ট তৈরি করে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে রূপক কুমার পান, হেমন্ত বাগদী, আকাশ মালিক, শুভম কোলে, রাজেশ্বর পাইন, অপূর্ব ঘোষ প্রমুখেরা প্রদর্শনী দেখিয়ে সকলের নজর কারেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি রামপ্রসাদ নন্দী। তিনি বলেন, রাজীব ভট্টাচার্য একক প্রচেষ্টায় যে কর্মকেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তা অবক্ষয়ী সমাজের কাছে এক চরম প্রাপ্তি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান স্টার লাইট কম্পিউটারের প্রিন্সিপাল সুমিত সামন্ত, বিশিষ্ট সাংবাদিক শুভাশিস সিংহ। অনুষ্ঠানে সকলকে অভিবাদন জ্ঞাপন করেন এখানকার শিক্ষক সুব্রতকুমার দাস, মিনহাজুল হক, সুজয় পাল, বিজয় ধারা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে বর্ধমানের ডি. জে ও সংমিশ্রণ ব্যান্ডের সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এখানকার শিক্ষক ও শিক্ষিকা সৌম্যদীপ ভাদুড়ি এবং বর্ণিতা মজুমদার।