মেমারি কলেজ চত্বরে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য

নূর আহমেদ,মেমারি : ৬ ডিসেম্বর,বুধবার, মেমারি কলেজ চত্বরে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত মেমরি এক নম্বর ব্লকের মেমারি কলেজ চত্বরে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাচীর ইলেকট্রিক পোল সহ একাধিক জায়গায়, মেমারি কলেজে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার পরে বলে জানা যায়, কোন পোস্টারে লেখা-পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতার কারণে দেবাশীষ চক্রবর্তীর মেয়ে ও জামাই কে স্বাস্থ্য দপ্তরে চাকরি সিবিআই তদন্ত চাই। কোনটাই লেখা- মেমারি উৎসবের জন্য মেমারি পৌরসভার কাছে মাঠ দেওয়ার জন্য দের লক্ষ টাকার দাবী করছেন কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশীষ চক্রবর্তী। কোনটাই লেখা মেমারী কলেজে প্রিন্সিপাল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ থাকার কারণে রামপুরহাট কলেজের প্রফেসর থেকে মেমারী কলেজে প্রিন্সিপাল দেবাশীশ চক্রবর্তী,কোনটাই লেখা নেতাজি মুক্ত বিদ্যালয়ের ৫০ লক্ষ টাকা মেমারি কলেজে প্রিন্সিপাল দেবাশীষ চক্রবর্তী আত্মসাৎ করেছে তার কোন হিসাব নেই অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চাই। কোনটাই লেখা- পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতার কারণে তার প্রভাব খাটিয়ে দেবাশীষ চক্রবর্তীর অগাধ সম্পত্তির মালিকানা করেছে, কলকাতায় একাধিক, বর্ধমানে বিলাসবহুল তিনতলার তিনটি বাড়ি, বিবেকানন্দ মোড়ে জামাই মেয়েদের নামে একাধিক ফ্ল্যাট, অগাধ লরি ও বাস এবং জমির মালিক। অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চাই। আবার কোনটাই বড় বড় করে লেখা চোর প্রিন্সিপাল দেবাশীষ চক্রবর্তীর শাস্তি চাই।

    এমন সব পোস্টার কে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়, বুধবার বিকাল তিনটা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশীষ চক্রবর্তী, তিনি নাম না করে, কলেজেরই কোন এক অশিক্ষক কর্মীকে দায়ী করেন এই পোস্টার কাণ্ড নিয়ে,বারং বারের মতো এটিও ওই অশিক্ষক কর্মীরই একটি চেষ্টা বলে জানান প্রিন্সিপাল।

    এব্যপারে মেমারি পৌরসভার উপপৌরপ্রধান সুপ্রিয় সামন্ত বলেন, প্রিন্সিপ্যাল একজন মিথ্যাবাদী। উনি মেমারিপ ইতিহাস জানেন না। অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।

    অন্যদিকে সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য সনৎ ব্যানার্জি বলেন মেমারি উৎসব মেমরির গর্ব।বাম আমল থেকেই মেমারি স্কুলমাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে এসেছে এই মেমারি উৎসব। এখন মাঠ স্টেডিয়াম হয়েছে , স্টেডিয়ামে এখন খেলা হয় না। গেটে তালা বন্ধ থাকে। কুকুরে পাইখানা করে। মেমারির সাধারণ মানষের উচিত এখন খেলার মাঠ খুলে মাঠকে খেলার উপযোগি করে তোলা। উৎসব অন্য কোথাও না করে মেমারি কলেজ মাঠেই হোক কিন্তু, কলেজ মাঠে উৎসব হলে টাকা চাওয়ার দাবিকে অনৈতিক দাবি বলে জানান সিপিআই এম নেতা সনৎ ব‍্যানার্জী।