বর্ধমান শহরের সিএমএস হাই স্কুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা: উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশ বহির্ভূতভাবে একাদশ শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন এর জন্য নোটিশ জারি করে পড়ুয়াদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ স্কুলের বিরুদ্ধে। আর এই টাকা দিতে না পারায় দুঃস্থ ছাত্রকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমান শহরের বড়বাজার বিসি রোডের সিএমএস হাই স্কুলে।

     

    এব্যাপারে ছাত্রের মা বিউটি বিশ্বাস ইতিমধ্যেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায়ের বিরুদ্ধে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর (মাধ্যমিক) ও বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের কাছেও জনিয়েছেন। বিধায়ক বিষয়টি জানতে পেরে বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার তথা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে ডেকে পাঠিয়েছেন।

    অভিযোগ, এই স্কুলেরই ছাত্র বিশাই বিশ্বাস মাধ্যমিকে ৫৮০ নম্বর পেয়ে এবারে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়।একাদশ শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের সই করা সেই নোটিশে রেজিস্ট্রেশন ফি এর পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১১৫০ টাকা। ইতিমধ্যেই বিশাই বিশ্বাস স্কুলের অ্যাডমিশন ফি ২৪০ টাকা এবং ল্যাবরেটরি ফি ১৮০টাকা, মোট ৪২০টাকা স্কুলে জমা করে দিয়েছে। এরপর বাড়তি টাকা তার পারিবারিক আর্থিক দুরাবস্থার কারণে দিতে অপারগ বলার কারণে তার রেজিস্ট্রেশন করাচ্ছে না স্কুল বলে দাবি ছাত্রের মায়ের।

    তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নাকি তাকে বলেন, টাকা না থাকলে অন্য সস্তা স্কুলে নিয়ে গিয়ে ছেলেকে ভর্তি করুন, আমাদের মতো নামি স্কুলে পড়াতে গেলে এই টাকা দিতে হবে। অভিযোগ এরপরই তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। বিউটি বিশ্বাস বলেন, প্রধান শিক্ষককে ছেলেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ( টিসি ) দিয়ে দিতে বললেও তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন।

    এ বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে জানি। খতিয়ে দেখব বিষয়টি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) সানা আকতার জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার নির্ধারিত টাকার বেশি কোনও টাকা নেওয়া যাবে না কোনওভাবেই।