নিম্নচাপের বৃষ্টিতে আলু ধান সবজি ক্ষতিপূরণ চেয়ে ডেপুটেশন মিছিল ও রাস্তা অবরোধ মেমারিতে

নূর আহমেদ : ১৪ ডিসেম্বর মেমারি সারা ভারত কৃষকসভা ও সারা ভারত ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন মেমারি ১ পূর্ব ও পশ্চিম ব্লক কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার নিম্নচাপের বৃষ্টিতে আলু ধান সবজি ক্ষতিপূরণ চেয়ে ডেপুটেশন মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করলো। অসময়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ধান আলু সরিষা সবজি চাষের ব্যপক ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে চাষীদের ক্ষতিপূরণের দাবীতে মেমারি ১ বিডিও কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মেমারি ১ পূর্ব ও পশ্চিম ব্লক কমিটির বিভিন্ন অঞ্চলে চাষের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের এই ফসল নষ্টের পাশে পঞ্চায়েত ও সরকার নেই। একদিকে সার ও বীজ আলু নিয়ে চলছে কালোবাজারী। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণের ৭ দফা দাবীর ভিত্তিতে সাতজনের একটি প্রতিনিধি দল মেমারি বিডিও শতরূপা দাসকে স্মারকলিপি তুলে দেন। বিডিও তাদেরকে বলেন, চাষীদে এই ক্ষতিতে তিনি মর্মাহত। তিনি তাদের দাবী উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

    দাবীগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল – সরকারীভাবে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের ধানের ক্ষেত্রে প্রতি বিঘা প্রতি ১৫ হাজার টাকা ও আলুর ক্ষেত্রে বিঘা প্রতি ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভাগচাষী ও ঠিকাচাষীদেরও ক্ষতিপূরণের আওতায় আনতে হবে। শস্যবীমার কোম্পানীগুলোকে অতি স্বত্বর শস্যবীমার ক্ষতিপূরণের অর্থ চাষীদের দিতে হবে। অবশিষ্ট ধান যতটুকু চাষী উদ্ধার করতে পারবেন তা সরকার নির্ধারিত দামে কোন ধরনের বাদ না দিয়ে ক্রয় করতে হবে। আলু সরিষা সহ অন্যান্য বীজ সার অবিলম্বে বিনামূল্যে দিতে হবে। কৃষিঋণের অর্থ মকুব করতে হবে। কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল মকুব করতে হবে। অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে।
    ডেপুটেশন শেষে বিডিও অফিস চত্বর থেকে মিছিল করে মেমারি সাতগেছিয়া রোড বামুনপাড়া মোড়ে এসে রাস্তা অবরোধ করা হয়। এই অবরোধে সামিল হয়েছিলেন ক্ষেতমজুর ও কৃষকরা। অবরোধ চলাকালীন বক্তব্য রাখেন জয়দেব ঘোষ, রণজিৎ চক্রবর্তী, আন্তাজ আলি দফাদার, অমিতাভ চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা বলেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে যে চাষীরা বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য এবার সরকারের ভাবা দরকার। চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ বিপুল, তাই অবিলম্বে সরকার কে তা ব্যবস্থা করতে হবে।