মুরারইয়ের এক অসুস্থ মা মেয়ের পাশে দাঁড়ালো নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবার

মহম্মদ রিপন ,নতুনগতি :

    ” ক্ষুধার জ্বালায় ভাতের খোজে
    কেউ যে করে ভিক্ষা ,
    রোগ বালাই-এ ধরলে তবে
    কে বা করে রক্ষা !
    মানুষের জীবনটা সুখ ও দুঃখ নিয়েই কেটে যায় সারাজীবন। কিন্তু দুঃখকে কাটিয়ে তুলতে না পারা একটি পরিবার হল মুরারই থানার পলশা গ্রামের সিমলা পাড়ার এক বৃদ্ধার পরিবার। ছেলে থাকতেও ছেলে নেই ছেলেরা বিয়ে করে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। বৃদ্ধ মা,বোন ও ভাগ্নিকে দেখার সময় নেই। এবার সেই অসাহায়ের পাশে দাঁড়াল নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবার। নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের সদস্য মফিজুল সেখ ও ডাঃ আব্দুল মান্নান জানান নিন্দা ও পরিবারের সদস্যা মৌসুম খাতুন এই বৃদ্ধার অসাহায়তার ঘটনা আসাদের বলেন আমরা সাথে সাথে আমাদের পরিবারের সাথে কথা বলি। তারাও দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য ব্যাবস্থা করেন।

    পরে আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের সবাই সিমলাপাড়াতে এলে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। বৃদ্ধা মায়ের বয়স প্রায় ৭০ বছর একটি মেয়ের বিয়ে হয়েছিল কিন্তু স্বামীহারা অবস্থায় মায়ের বাড়িতে থাকত। সেই মেয়েটি ধূপ জ্বালাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে বাড়িতে পড়ে আছে চিকিৎসার অভাবে, তার একমাত্র মেয়ে পাগল কিছু বলতেই পারেনা সারাশরীরটাই ক্ষততে ভরা, ছোট্ট একটা ঘর বাড়িতে বৃষ্টির সময় জল পড়ে, বাড়িতে ক্যারেন্টের ব্যাবস্থা নেই। ওদের করুন দৃশ্য দেখে উপস্থিত সদস্যদের অনেকেরই চোখের জল পড়ে সাথে সাথে নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের সদস্য মফিজুল বাবু, ডাঃ আব্দুল মান্নান আপাতত চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দিয়ে আসেন সাথে ২৫ কেজি চাল, তিনকেজি চিনি, তিনকেজি ডাল, দু লিটার তেল পুজো উপলক্ষে তাদের হাতে নতুন বস্ত্র। ফার্মাসিস্ট মেহেবুব হক জানান আমরা ফ্রিতে ওষুধ পাওয়া ব্যাবস্থা করে দিব, আজিজুল বাবুর কথায় আমরা একটা ফ্যান, শীতবস্ত্র খুব তাড়াতাড়ি তুলে দিব। নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের সবাই জানান আমরা সামনে সপ্তাহে আবার বৃদ্ধা মায়ের ছোট্ট আস্তানায় যাব।