অকালে প্রয়াত হামিদা কাজী একটি অধ্যায়

সুফি রফিক উল ইসলাম : কবি-গল্পকার-প্রাবন্ধিক-নাট্যকার-নাট্যশিল্পী- সম্পাদক সর্বোপরি সাহিত্য ও সংস্কৃতি মনস্ক ব্যক্তিত্ব হামিদা কাজী প্রয়াত হলেন ৬ এপ্রিল শনিবার প্রায় রাত ১০-৩০ নাগাদ দুর্গাপুরের বিধাননগরের সিটিজেন হসপিটালে। বর্ধমান জেলার (বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার) শিল্পাঞ্চল আসানসোলের জামুড়িয়া বাজার এলাকায় ১৯৬২ সালের ০৮ আগষ্ট জন্মগ্ৰহণ করেন। পিতার নাম কাজী আমির আলি,মাতার নাম মিন্নাতুল্লা বেগম। বৈবাহিক সূত্রে কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের সম্পর্কিত বধূ। স্বামীর নাম তপন কাজী। দীর্ঘদিন চুরুলিয়া বসবাস এবং পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী দোমোহানী বাজারে শিল্পীতীর্থ নীড়ে বসবাস। বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী মুহম্মদ আবদুল্লাহ্ রসুল সাহেব ছিলেন বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী হামিদা কাজীর সম্পর্কিত মামা। নাট্যজগৎ, কাব্য জগৎ, সাহিত্য ও শিল্প জগতের সঙ্গে হামিদা কাজীর ছিল দৈনন্দিন ওঠাবসা।কাব্য জীবনে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বিশেষ সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। এই সান্নিধ্য ছিল তাঁর কাছে পরম প্রাপ্তি। হামিদা কাজী বাংলা সাহিত্য জগতে দীর্ঘ দিনের পরিচিত মুখ —- শুধু শিল্পাঞ্চল নয়, মহানগর কলকাতার‌ও। দেশ, আনন্দবাজার, আজকাল,যুগান্তর, প্রতিদিন,উত্তরবঙ্গ সংবাদ, নতুন গতি,দিন দর্পণ প্রমুখ পত্র পত্রিকার সঙ্গে শিল্পাঞ্চল সহ বেশ কিছু এলাকার পত্র পত্রিকার পাতায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে।মেমারির কলমের মুখ পত্রিকার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার জন্য অসুস্থ ছিলেন। নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল তাঁর।এক‌ইসঙ্গে তিনি নিয়মিত লেখাও চালিয়ে গেছেন। তিনি প্রায়ই বলতেন লেখালেখিই তাঁর জীবন। ০৮ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার তাঁর নিথর দেহ কবিতীর্থ চুরুলিয়ায় দাফন করা হয়।
তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা হল: নিবেদিতা এবং মশাল।
গল্পঃ:-অন্তরালে।২) দুয়োরাজা সুয়োরাজা।৩) নির্বাচিত গল্পঃ।
কাব্যগ্ৰন্থ:-কাব্যে তুমি।২) উদাস বাউল।
শিশু সাহিত্য:-এসো গল্প করি।২) এসো স্বাধীনতার গল্প করি।
জীবনী গ্ৰন্থ:-তোমার আমার ম্যান্ডেলা।২) বৈচিত্র্যে ভরা নজরুল।
নাটক:-সোঁদা মাটির বুকে ( এটি বাংলা ও হিন্দি দুটি ভাষায় রচিত)।
উপন্যাস:-বিদ্রোহিনী।২) খেজুর বীথির ছায়া। ৩) চিকিৎসা (পত্রিকায় প্রকাশিত)।
টেলিফিল্ম:-প্রবাহ।
এই আমি সেই আমি।২) বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের উপর গবেষণা মূলক গ্ৰন্থ প্রকাশের পথে।
এছাড়াও বেশ কিছু অপ্রকাশিত রচনা রয়ে গেছে যেগুলো পরবর্তী কালে পাঠককুলের কাছে পৌঁছাবে কিনা তা সময়‌ই বলবে।