রমজানে লাগামহীন ফলের বাজার, অস্বস্তিতে রোজাদার সুযোগ বুঝে কোপ

হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : রোজাদারদের ইফতারিতে অন্যতম পছন্দ হল ফল। রোজা পড়ার সাথে সাথে অগ্নিমূল্য ফলের বাজার এতেই মাথায় হাত রোজাদারদের । পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ফলের বাজার কোলকাতার মেছুয়া সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ফল আসে। আর বিশেষ করে এ বছর রোজা গ্রীষ্মকালে তার উপর প্রখর রৌদ্রের মুহূর্তে হওয়ার কারণে গাছে ফল শুকিয়ে যাচ্ছে তেমনিও গরমে অধিক মাত্রায় নষ্ট হয়েও যাচ্ছে ফল,এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের জন্য চড়া দামে তারাও ফল বিক্রি করছে। প্রতিদিনের রোজা ভাঙার মুহূর্ত ইফতারিতে ফলমূল নিত্যদিনে প্রয়োজন। সেই ফল বিক্রি চলছে চড়া দামে,আর এতেই ফল কিনতে আসা রোজাদারদের কপালে হাত। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অন্যতম ফলের বাজার জয়নগরের বকুলতলা নতুনহাট এখানকার ফল বেশ কয়টি থানা এলাকায় পৌঁছায়। বকুলতলা নতুনহাটের ফল বিক্রেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা আজিজুল পিয়াদা শফিউল্লাহ মন্ডল আনসার মন্ডল নুরুদ্দিন মোল্লার কথায় উঠে এলো এই বাজারের ফল একাধিক এলাকায় য়ায়। আমাদের ও চড়া দামে ফল কিনতে হচ্ছে তার কারণেই আমাদের ও চড়া দামে ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে অন্যান্য মাসের তুলনায় এই রোজার মাসে ফল মূলের বিক্রি বেশি ।এতেই রুজি রোজগার ও বেশি হয়। এখানের অধিকাংশ ফল ব্যবসায়ী ইসলাম ধর্মাম্বলি আমরা এই রোজার মাসে যতটুকু রোজগার করি-তার অধিকাংশ উপার্জন আমরা দান খয়রাতে দিয়ে থাকি। এই সকল বিক্রেতাদের কথায় বাজার ঊর্ধ্বমুখী ।এবারের রোজা পড়ার সাথে সাথে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের ফলের বাজার। এতে কেবল বিপাকেই নয়, অস্বস্তিতেও পড়েছেন রোজাদাররা। ফলের এই ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ে ক্রেতারা কি বলছেন? সাম্মাদ বাবুরাম জাকারিয়া হাবিবুর কাশীনাথ হাসান সালাম কৌশিক রোজা পড়ার জন্য বাজার ঊর্ধ্বমুখী বিভিন্ন ফলের দাম। একাধিক অজুহাত দেখিয়ে অনেক পণ্যেই এতদিন ভোক্তার পকেট কেটেছেন বিক্রেতারা। এবার শুরু হয়েছে ফলের বাজারেও।

    এক ক্রেতা শাহাবুদ্দিন সেখ কথায় সপ্তাহ ব্যবধানে আরও বেড়ে গেছে দেশ-বিদেশের সব ধরনের ফলের দাম। এতে অস্বস্তি আরো বাড়ছে, দাম না কমায় ইফতারিতে ফলের একাধিক আইটেম কমিয়ে অল্প পরিমাণ দিতে হচ্ছে। খেজুর লেবু কলা আপেল শশা পেঁপে তরমুজ পেঁয়ারা সবেদা। পাশাপাশি রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে ফলের চাহিদাও, এতে দাম আরও বাড়ছে।খেজুর ৩০০ টাকা কমলালেবু পিস ৪০ টাকা আপেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, নাশপাতি ২৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা তরমুজ ৩০ থেকে ৫০ টাকা পাতি লেবু ১০ টাকা পিস
    এদিকে, দেশি ফলের সরবরাহ ঠিক থাকলেও, বিদেশি ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে দাম। সব ধরনের ফলে গড়ে দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।ক্রেতাদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে সিন্ডিকেট করে কেজি হিসেবে দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এর মাধ্যমে ভোক্তার পকেট কাটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।অস্বস্তিতে রোজাদাররা।