বাঘের গর্জনে আবার আতঙ্ক মৈপিঠ কোস্টাল থানার পয়লা ঘেরীতে

হাসান লস্কর সুন্দরবন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : মৈপিঠ কোস্টাল থানার অধীনস্ত ভুবনেশ্বরীর পয়লা ঘেরি মাকড়ি নদী পাশে সুধীর দাসের ঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাঘের গর্জন শুনতে পায়।

    শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গ্ৰাম সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘের পায়ের ও ছাপ তারা দেখতে পায় ।বেশ কিছুদিন আগে মৈপিঠ কোস্টাল থানার ভুবেনেশ্বরী গৌড়ের চক এলাকার বাঘের আতঙ্ক কাটলেও এখনো বাঘের আতঙ্ক কাটেনি ভুবনেশ্বরী পয়লার ঘেরি সুধীর দাশের ঘাট এলাকায়।

    স্থানীয় বাসিন্দাররা রাতে ভাত খাওয়ার পরে বাইরে মুখ ধুতে বার হওয়ার মুহূর্তে বাঘের গর্জন শুনতে পায় তড়িঘড়ি পাশের বাড়ির লোকেদের কে তারা ও জানায়, খবর পৌঁছায় মৈপিঠ কোস্টাল থানায় কুলতলী বিট অফিসে। মৈপিঠ কোস্টাল থানার ওসি স্বপন বিশ্বাসের সাথে একাধিক পুলিশ এলাকায় এসে মাইকিং প্রচার করে ও এলাকা বাসীদের আতঙ্ক কাটাতে গ্ৰামে গিয়ে মানুষদের কে আশ্বাস দেন আপনারা অযথা ভীত সন্ত্রস্ত হবেন না। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কার্তিক দাস গণেশ দাস জানালেন বনদপ্তর কিম্বা স্থানীয় পঞ্চায়েত আলোর ব্যবস্থা করলে বাঘের আতঙ্কে দিন কাটাতে হতো না। শীতের শুরুতেই গত দু’বছর সুন্দরবন কুলতলী এলাকায় বাঘের আনাগোনা চোখে না পড়লেও এবছর শীত পড়তেই একের পর এক বাঘের পায়ের ছাপে আতঙ্কিত কুলতলী বাসী। বনদপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায় বাঘ গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল থেকে আজমলমারী কম্পার্টমেন্টে চলে গেছে অযথা ভীত সন্ত্রস্ত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সর্বদা বনদপ্তর নদী সংলগ্ন এলাকায় দিনে রাতে টহল দেয়।