সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচারাল ফাউন্ডেশন এর বার্ষিক চিত্রপ্রদর্শনী সার্থক

নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতা আইসিসি আরে “যামিনী রায় আর্ট গ্যালারিতে” অনুষ্ঠিত হলো “সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচার ফাউন্ডেশন” এর বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী ২৩, ।। গ্রাম বাংলা মফস্বল এবং শহরকেন্দ্রিক চিত্রশিক্ষক ও শিশু শিল্পীদের অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন প্রায় ২০০ টির উপরে ছবি এই প্রদর্শনী স্থান পেয়েছে। সংস্থার কর্ণধার অমিত দাস জানালেন আইসিসি আর এর যামিনী রায় আর্ট গ্যালারিতে ছবি প্রদর্শনের জন্য তিনি অভূতপূর্ব সারা পেয়েছেন। প্রদর্শনীর প্রথম দিন থেকেই যামিনী রায় আর্ট গ্যালারি চিত্র প্রেমীদের ভিড়ে উপছে পড়েছিল।। শেষের দিন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত চিত্রশিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের হাতে প্রশংসা পত্র ও স্মারক তুলে দিলেন উপস্থিত সম্মানীয় অতিথিরা।।অনুষ্ঠানে অতিথির আসন অলংকৃত করেছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী তপন রায়, চিত্রশিল্পী দেবপ্রসাদ হাজরা, চিত্রশিল্পী ও চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টারের অধ্যক্ষ দীপঙ্কর সমাদ্দার, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট তালবাদ্য শিল্পী এবং সুরকার পন্ডিত মোল্লার ঘোষ, চিত্রশিল্পী গৌতম দাস এবং বিশিষ্ট কবি বাচিক শিল্পী ও অভিনেত্রী মল্লিকা ঘোষ।। সংস্থার পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্মানীয় অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয় এবং স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করেন “সর্বভারতীয় ক্রিয়েটিভ কালচারাল ফাউন্ডেশন” এর সদস্যরা। অতিথিরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন শিল্পীদের প্রতি। দেবপ্রসাদ হাজরার বক্তব্যে মূল কথা ছিল কোন ছবি কপি করে আঁকা উচিত নয়, ভালো ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তার ধারাকে অনুসরণ করা যায় কিন্তু অনুকরণ কখনোই নয়।। তপনবাবু জানালেন এই ধরনের প্রদর্শনী শিশু মনে ভালো ছবি আঁকার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিল। দীপঙ্কর বাবু বললেন অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আপনার বাচ্চা যখন ছবি আঁকবে কখনোই তার ছবিকে খারাপ বলে নিরুৎসাহিত করবেন না এবং অন্যের ছবির সঙ্গে তুলনা করে তোমার ওর মত হচ্ছে না কেন এ কথা কখনোই বলবেন না। অতিথি মল্লার ঘোষ এবং মল্লিকা ঘোষ সংস্থার কর্ণধার অমিত দাস কে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের অসাধারণ বক্তব্য রাখলেন চিত্রশিল্পীদের উৎসাহিত করার জন্য।। চিত্রশিক্ষকদের অসাধারণ জলরং, পেন্সিল, তেল রং এবং এক্রিলিক পেইন্টিংয়ে র অপূর্ব নিদর্শন লক্ষ্য করা গেল। যেমন সোমনাথ পোড়েলের ছবিগুলো প্রশংসার দাবি রাখে।। সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের নিসর্গ চিত্র, সায়ন মজুমদারের মা কালী, শিল্পী মৌমিতার সেতার শিল্পী, রাজিব সাধুখানের ফুল, বিশ ভানু শিল্পীর সেলুন, চন্দন পালের ডান্ডিয়া প্রত্যেকের ছবিগুলি বেশ দৃষ্টিনন্দন।। এছাড়াও প্রশংসার দাবি রাখে বিদ্যা দাস, নন্দিনী সাউ, প্রদ্যুম্ন নায়েক, সৌরিক মাহান্ত, সুমেধা সোম, ময়ুক চক্রবর্তী,তুষার পান্ডে, সমৃদ্ধা ঘোষ, অমিত প্রজাপতির কাজগুলো ব্যতিক্রমী। প্রদর্শনী কক্ষে ছবিগুলো আরেকটু অর্গানাইজড ভাবে সাজালে হয়তো আরো ভালো লাগতো এবং জায়গা অনুযায়ী ছবির সংখ্যা অনেকটাই বেশি লক্ষ্য করা গেল। তবে আইসিসিআর যামিনী রায় আর্ট গ্যালারিতে যে সমস্ত শিশু শিল্পীদের ছবি স্থান পেল তারা এতে অনেকটাই অনুপ্রাণিত হল এ কথা হলপ করে বলা যায়।।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেছেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। এক কথায় তিনদিনের এই চিত্র প্রদর্শনী ও শেষ দিনের অনুষ্ঠান চমকপ্রদ। এই ধরনের উৎসাহ মূলক কাজ আগামী দিনে অনেক শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করবে একথা বলা যায়।