বেহাল রাস্তা চিকিৎসা কেন্দ্রে গর্ভবতী কিম্বা প্রসূতি মায়েদের নিয়ে যেতে হয় ঝড়ায় বসিয়ে

হাসান লস্কর সুন্দরবন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : উন্নয়ন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক জনহিতকর প্রকল্পগুলির সুফল পাচ্ছেন গরিব মেহনতি পরিবারের সদস্যরা। দিদিকে বলো,

    দুয়ারে সরকার,পাড়ায় সমাধান দিদির সুরক্ষা কবজ ।এই মুহূর্তে অষ্টম পর্যায়ে দুয়ারে সরকার চললেও এখনো অনেক পরিষেবা থেকে গ্রাম বাংলার মানুষজন বঞ্চিত হচ্ছে, এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। একাধিক পরিসেবা থেকে বঞ্চিত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী বিধানসভার দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের মাধবপুর ১৭১ নাম্বার বুথের জনগণ। যেখানে কয়েক হাজার চাষী কৃষক ক্ষেতমজুর মৎস্যজীবীর বসবাস,যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তাদের চলাচলের রাস্তা বেহাল অবস্থায়। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হলে অন্যের ঘাড়ে চেপে যেতে হয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ভঙ্গুর কাঠের সেতুর উপর দিয়ে যেতে হয় স্কুলে-পদে পদে বিপদ। সরকার এই সমস্ত মানুষদের আর্থসামাজিক উন্নতি সাধনে সদা সর্বদা নজর দিলেও উন্নয়নের ছোঁয়া সেভাবে পৌঁছায় না এই সমস্ত গ্ৰাম গুলিতে। মাঠ ঘাট বাজারে যেতে খসছে তাদের টাঁকের কড়ি। আর এতে ভোগান্তির শিকার কুলতলির দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের মাধবপুর বাসীর। জবেদ আলী গাজীর কথায় দীর্ঘ ৪৪ বছর আগে থেকে আমরা এই এলাকায় বসবাস করে আসছি ।সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই এলাকার মানুষজন । আনোয়ারা গাজী বাবুসোনা লস্করের কথায় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মনি নদী,আর সেই মনি নদীতে একদা ছিল জোয়ার ভাটায় প্রবলটান। এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। আর এই মুহূর্তে তা ছোট একটি শোঁতায় পরিণত হয়েছে, ২০-৩০ ফুটের চওড়া আর তাতেই পার হতেই গুনতে হচ্ছে কড়ি। নিত্যদিন মানুষ কর্মসূত্রে কিম্বা স্কুলেঅ শিশুদের কে নিয়ে যেতে দিতে হয় টাকা। ওই গ্রামে দুইটি কাঠের সেতু পারাপার করতে এমনই পকেট ফাঁকা হচ্ছে গ্রামবাসীদের। কৃষ্ণচন্দ্রপুর এর বাসিন্দার আনন্দ মাঝির কথায় আমি বাইকে একটি ঝাঁকা নিয়ে মুরগির বাচ্চা বিক্রি করতে এসে দিতে হল ১৫ টাকা। এলাকার মানুষজন যাতায়াত করে,আর সেখানেই দিতে হচ্ছে টাকা প্রতিদিনে। এই সমস্ত পরিবার তাদের কাছে প্রতিনিয়ত পনেরো টাকা করে দেওয়া খুবই কষ্টের ব্যাপার। সাধারণ মানুষদের সমস্যা সেদিকে নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের । এলাকার মানুষজন বারে বারে গ্ৰাম পঞ্চায়েতে জানালেও মেলেনি সমাধান। জেলা পরিষদ পূর্ত দপ্তর ও এরিকেশন দপ্তরকে জানানোর পরেও মেলেনি সমাধান। আর এই কাঠের সেতু গুলি যারা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কহিনূর গাজি রমজান গাজীর কথায় আমরা দু লাখ দুই হাজার টাকা পঞ্চায়েত কে দিয়েছি। সেই টাকা তুলতে আমরা সেতু পারাপার করা লোকজনের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে লোক টাকা। যাত্রী পারাপারের যারা টাকা নিচ্ছেন তাদের কথায় ২ লক্ষ ২ হাজার টাকা দেউলবাড়ী দেবীপুর পঞ্চায়েত কে আমরা দিয়েছি। আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও সারাইয়ের জন্য এ টাকা তো নিতেই হবে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ইদ্রিস গাজী তারই কথায় অসঙ্গতি। তিনি জানান এবিষয়ে বারে বারে গ্ৰাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে জানানোর পরেও মেলেনি সুফল। স্থানীয় মানুষজন নিজেদের অর্থ ব্যয়ে কাঠের সেতু দুইটি নির্মাণ করেছে।এই কাঠের সেতু দিয়ে মে সমস্ত মানুষজন যাতায়াত করে তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। তবে টাকার পরিমাণটা শুনেছি বেশি অঙ্কের। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শফিউল্লাহ শেখ কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান জানান এ বিষয় আমার জানা নেই ।আমি এই কয়েকদিন হল পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছি বিগত দিনে কারা কি করেছে আমার তা জানা নেই তবে আমি বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। কুলতলী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা সরদার কে বিষয়টি অবগত করালে, তিনি এ বিষয়ে তীব্র খোব উগরে দেন। কারা এর সঙ্গে যুক্ত কেন বা এত টাকা নেয়া হচ্ছে এখনই তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। সাধারণ মানুষদের প্রতিনিয়ত জীবন জীবিকার সন্ধানে জনমজুরির কাজ করে যাদের সংসার চলে আর তাদের প্রতিটি মুহূর্তেই তাদেরকে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। এমনই বিষয় নজরে আশায়,সেখানে পরিদর্শনে যান কুলতলী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এলাকাবাসীর দাবি নরক যন্ত্রণা থেকে কবে রেহাই পাবে তারা। তারই প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছেন খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষজন।