|
---|
নূর আহমেদ,জামালপুর, পূর্ব বর্ধমান : মহালয়ার আগের দিন রাতে বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড়ে মুখ গোঁজা অবস্থায় মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন মৃতার বাবা গোপাল দাস। মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে শুক্রবার রাতে জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালমুলা গ্রামে। ঘটনায় মৃতার বাবা গোপাল দাস জামালপুর থানায় গ্রামেরই এক যুবকের খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর থানার পুলিশ অরিত্র মন্ডল ওরফে বিট্টু কে আটক করে। পরিবার সূত্রে খবর, গ্রামের এক যুবকের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল ঐ স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মাশুল তাকে দিতে হল জীবন দিয়ে! মহালয়ার আগের দিন রাতে বাড়ির অদূরে চিৎকার শুনতে পান। ততক্ষণে মেয়ে ঘরে না ফেরায় একাদশ শ্রেণীর ঐ ছাত্রী বর্ণালী দাসের খোঁজ শুরু করেন বাবা গোপাল দাস। তখন তিনি বাড়ির অদূরে পুকুর পাড়ে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শালমূলা গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় জামালপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাবালিকার মৃতদেহ পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঐ এলাকা থেকে অরিত্র মণ্ডল ওরফে বিট্টু নামে এক যুবককে আটক করেছে।নাবালিকার বাবার অভিযোগ, বিট্টু নামের ওই যুবকের প্রেমের প্রস্তাব তাঁর মেয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরপর থেকে তাঁর মেয়েকে প্রায়সই হুমকি শাসানি দিত বিট্টু। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বদলা নিতেই শ্বাস রোধ করে মেয়েক হত্যা করেছে বিট্টু। এমনই অভিযোগ করেছেন মৃতার বাবা।