তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় বিক্ষোভ এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং এআইডিডব্লিউএর

বর্ধমান: অভিযোগ উঠেছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী এক তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। আর তার জেরে তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। আর অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। বর্ধমানের এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ফলে ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগছেন মৃতার পরিবার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামে সিপিআইএমের ছাত্র–যুব সংগঠন। এই বিষয়ে বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘তদন্তে করে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    ঠিক কী অভিযোগ পরিবারের?‌ আত্মঘাতী তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁরাও তৃণমূল কংগ্রেস করেন। তবে প্রার্থীর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতার অনুগামী। তাই এখানে পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই ওই নেতা তাঁদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিলেন। এমনকী বাড়ির দেওয়ালে কুরুচিকর ছবি এঁকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। আর নির্বাচনে জেতার পর ওই নেতা দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। বোমা ফাটিয়ে ভয় দেখানো হয়। ওই তরুণী ও তাঁর এক দিদির শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। যা সহ্য করতে না পেরেই ওই তরুণী আত্মহত্যা করে।

    এই নিয়ে ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–সহ দলবলের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করেনি। যাঁর বিরুদ্দে অভিযোগ তিনি দাবি করেছেন, ‘আমিও সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সিআইডি তদন্ত করুক। সত্য প্রকাশ্যে আসুক সেটাই চাই।’‌

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিচারের দাবিতে বর্ধমানের কার্জন গেটে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং এআইডিডব্লিউএ। এমনকী মিছিল করে বর্ধমান থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর সব রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীরা আত্মঘাতী তরুণীর বাড়ি গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।