|
---|
ডায়মন্ড হারবার: জাল ডোমিসাইল চক্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে বাংলা পক্ষ। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড থেকে বহিরাগতরা টাকার বিনিময়ে বাংলার ডোমিসাইল জোগাড় করে সিআরপিএফ, বিএসএফ এর বাংলার রাজ্য কোটার চাকরি দখল করার শয়ে শয়ে ঘটনা এর আগেই সামনে এসেছে। একাধিক জায়গায় পুলিস কেস করেছে বাংলা পক্ষ।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ডায়মণ্ড হারবার পুলিস জেলার বজবজ, মহেশতলা, রবীন্দ্রনগর এলাকা জাল ডোমিসাইল চক্রের ঘাঁটি হয়ে উঠেছে।
বাইরের রাজ্য থেকে এসে এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে ভুয়ো নথি তৈরী করে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট তৈরী করা হচ্ছে। এই দুর্নীতিতে পুলিসের আইবি বিভাগের কিছু অসৎ অফিসাররাও যুক্ত।
অবিলম্বে উপযুক্ত তদন্ত করে দালালরাজ বন্ধ করা ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে এবং পুলিসের ভিতরে থাকা দোষী ব্যক্তিদের চিহ্ণিত করে বিভাগীয় শাস্তির দাবিতে আজ পুলিস সুপারের দপ্তরে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করলো বাংলা পক্ষ।
সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী, দঃ ২৪ পরগণার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী সহ সৌম্য বেরা ও হুমায়ূন মোল্লার এক পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ পুলিস সুপার, ডিআইবির এডিশানলা সুপার, ডেপুটি সুপার সহ একাধিক পুলিস কর্তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ তথ্যসহ তুলে ধরা হয়। আলোচনা সদর্থক হয়েছে বলে জানা যায়।
কৌশিক মাইতি বলেন ” আমরা আশাবাদী দালালসহ, দোষী পুলিস কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।” তিনি আরও বলেন, বাংলার প্রাপ্য একটা চাকরিও বহিরাগতদের হাতে যেতে দেবে না বাংলা পক্ষ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভূমিপুত্রদের চাকরির স্বার্থে বাংলা পক্ষর এই লড়াই চলবে।
অরিন্দম চ্যাটার্জী ও প্রবাল চক্রবর্তী দুই জেলা সম্পাদক কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শহরাঞ্চলে জাল ডোমিসাইল ও জাল কাস্ট সার্টিফিকেট চক্রের বিরুদ্ধে সংগঠনের কর্মসূচী বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা বলেন।