প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বাতিলের দাবিতে কুলপি বাজারে প্রকাশ্য কনভেনশন ও মিছিল CPIMএর

বাবলু হাসান লস্কর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা  : পশ্চিমবঙ্গের একাধিক ব্লকে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। আর এই বিদ্যুৎ দপ্তরের দানবীয় স্মার্ট মিটার যা মোবাইলের মতো রিচার্জ করতে হবে। আর রিচার্জ শেষ হয়ে গেলে মিলবে না বিদ্যুৎ পরিষেবা, প্রখর রোদ্দের সময় কিম্বা গভীর রাতে সারাদিনের দৈহিক পরিশ্রমের পর একটু শান্তিতে বিশ্রাম নেবে- আর সেই মুহূর্তে স্মার্ট মিটারের জমা রাশি না থাকলেই পড়তে হবে মহা ফাঁপরে।এমনই সমস্যায় পড়তে হবে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারের। বিশেষ করে সরকার ৭৫ ইউনিট ভর্তুকি ঘোষণা করলেও বাস্তবে সুফল পাচ্ছে না সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকজন। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। আর এই স্মার্ট মিটারে মোবাইলের মতো অগ্রিম টাকা রিচার্জ করতেই হবে, অগ্রিম টাকা রিচার্জ না করলে বিদ্যুৎ থাকবে না আপনার বাড়িতে। আর তাই নুন আনতে পান্তা ফুরানো মানুষদের সমস্যায় পড়তে হবে সবথেকে বেশি। তাই তারা একাধিক এলাকায় পথে নেমেছে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের আটকে রেখে একাধিক জায়গায় চলেছে বিক্ষোভ। এ বিষয় নিয়ে পথে নেমেছেন সি পি আইএম দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটিও। আগে রিচার্জ করতে হবে তারপরে মিলবে বিদ্যুৎ আবার রিচার্জ শেষ হলেই থাকবে না বিদ্যুৎ কানেকশন। যেকোনো মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটতে পারে। নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবার গুলি অগ্রিম টাকা জোগাড় করার মতো অবস্থায় নেই। তারা কিভাবে পাবে বিদ্যুৎ এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে তাদের। বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখতে ও পুরানো ডিজিটাল মিটার রাখার পক্ষে তারা আন্দোলনে নামছে। কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মন্দিরবাজার এলাকায় প্রকাশ্য কনভেনশনের আয়োজন করেন। যেখানে

    উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী, জেলা নেতৃত্ব রাম দাস, মিত্যেন্দু ভূঁইয়া, কুলপি এরিয়া কমিটির সম্পাদক সমীর সরদার, শ্রমিক নেতা তিলক কানুনগো প্রমুখ। যেখানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।