|
---|
মাসুদুর রহমান, ৫ই মার্চ, নতুন গতি: আলিয়া ইউনিভার্সিটির প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খান কান্ডের ক্ষত এখনও সারেনি। কিছু দিন আগে অবধি পশ্চিমবঙ্গ উত্তাল ছিল। আনিস হত্যার প্রতিবাদে সকলেই ছাত্রদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে পথে নেমেছিল।
পথে নামতে দেখা গিয়েছিল SFI ও DYFI এর মত ছাত্র সংগঠনকে। তারা দফায় দফায় মিছিল করেছে আনিস হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে। আনিস খানের পিতা সালেম খানের CBI তদন্তের দাবিকে তারাও সমর্থন করেছিল।
দফায় দফায় থানা ঘেরাও, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের। এরপর তারা কয়েক দিন আগে হাওড়া S P অফিস অভিযানের ডাক দেয়। সেখানেই হাওড়া পুলিশ আর আন্দোলনকারীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পুলিশ আর জনতার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর মধ্যেই দেখা যায় পুলিশ একজন মধ্য বয়স্ক আন্দোলনকারী নির্মমভাবে লাথি মারছে। যা রীতি মত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সাধারণ আন্দোলনকারী মানুষের উপর পুলিশের এই বর্বরোচিত আচরনের জন্য অ্যাডভোকেট সায়ন ব্যানার্জী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন হাওড়া পুলিশের বিরুদ্ধে। অ্যাডভোকেট সায়ন ব্যানার্জী বলেন, “ভারতবর্ষের বুকে যারা Rule of Law এর উপরে যেতে চেয়েছে, ভারতবর্ষের আইন তাদের আবার Rule of Law এর নিচে এনে নামিয়েছে।” অ্যাডভোকেট আরো বলেন, “পুলিশের চাল চলন দেখে মনে হচ্ছে তারা যেন ভাবছেন that they are beyond the rule of law “অর্থাৎ যেন তারা আইনের ঊর্দ্ধে। অ্যাডভোকেট সায়ন ব্যানার্জীর এই পদক্ষেপ নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।