পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে রমেশ চন্দ্র সরকারকে প্রধান হিসাবে পেয়ে উন্মাদনা।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে রমেশ চন্দ্র সরকারকে প্রধান হিসাবে পেয়ে উন্মাদনা। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান ২নং ব্লকের বড়শুল ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান, উপপ্রধান পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়। ১০ আগস্ট ঘড়ির কাঁটায় ঠিক বেলা বারোটা বাজতেই গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধান, উপপ্রধান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন রমেশ চন্দ্র সরকার। সদা হাস্যময় রমেশবাবু এলাকায় ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। স্থানীয় এলাকায় মানুষের সুখ দুঃখের সাক্ষী হয়ে থাকেন সর্বদা। এই নিয়ে দুইবার রমেশ চন্দ্র সরকার প্রধান পদ পেলেন। এই গ্রাম পঞ্চায়েতেই তিনি গতবারে যোগ্যতার সঙ্গে উপপ্রধানের পদ সামলেছেন। গতবারের আগের টার্মে রমেশবাবু প্রধান ছিলেন। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার সময় থেকেই তিনি পঞ্চায়েত পরিচালনার কাজে যুক্ত আছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনার কাজে একজন দক্ষ প্রধানকে পেয়ে এলাকার মানুষ ভীষণ খুশি। রমেশ বাবুর আইকন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের প্রদর্শিত পথেই গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনার কাজকে আরো দ্রুতভাবে তিনি সম্প্রসারিত করতে চান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এদিন বড়শুল ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর দলীয় কর্মীরা তাদের প্রিয় প্রধান, উপপ্রধান রমেশ চন্দ্র সরকার ও নাজিরা বেগমকে ফুলের মালা পরিয়ে হুট খোলা গাড়ি করে এলাকা পরিক্রমা করে। নাজিরা বেগম তাঁত খন্ড গ্রামের গৃহবধূ। তিনি গতবারে এই পঞ্চায়েতে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। নাজিরা বেগম গ্রামের মানুষের পাশে থেকে তিনিও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। এবারও তিনি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে জয় লাভ করেন। দল তাকে উপপ্রধান পদে আসীন করায় নাজিরা বেগম সন্তোষ প্রকাশ করেন। নাজিরা বেগমকে নিরন্তর সহযোগিতা করেন তার স্বামী সমাজ ব্রতী শেখ শফিক। এ দিনের বর্ণময়ী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির নবনির্বাচিত সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবী শেখ কামরুল হাসান, গৌড় দত্ত, শেখ শফিক, শেখ নাজির, জয়ন্ত বৈদ্য, বাপি সরকার, শেখ শুকুর প্রমুখ।