রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালনে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি

পারিজাত মোল্লা : যথাযোগ্য মর্যাদা ও আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ১৩৬ তম জন্মদিন পালন করল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি অন্তর্গত রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি। শতাব্দী প্রাচীন হতে চলা ঐতিহ্যবাহী এই সোসাইটির রূপকার ও প্রতিষ্ঠাতা কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গত সোমবার সন্ধ্যায় সোসাইটির নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ রথীন্দ্রমঞ্চে আয়োজিত হয় এই জন্মদিবস স্মরণ অনুষ্ঠান। বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সহ-সভাপতি শ্রী অনিন্দ্য কুমার মিত্র, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। বিশেষ আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়।

    শুরুতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সদস্য/সদস্যাদের দ্বারা পরিবেশিত হয় কবিতা কোলাজ সহ একটি আলেখ্য, পরিচালনায় শ্রীমতী বুলা বাগচী। প্রারম্ভিক বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন -“রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি প্রতিষ্ঠা রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক বিশেষ অবদান”। বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠাকালে কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বিশেষ ভূমিকার কথা শ্রদ্ধা সহকারে উল্লেখ করেন সহ-সম্পাদক শ্রী অনিন্দ্য কুমার মিত্র। অধ্যাপক শ্রী বিশ্বজিৎ রায় সুললিত ভঙ্গিমায় প্রাঞ্জল সহকারে কবিগুরুর জীবনে রথীন্দ্রনাথ এবং রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনে পিতার অবদান বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেন ” রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মারক বক্তৃতা”য়। এর পর শুরু হয় বিশেষ ‘পরম্পরা’ অনুষ্ঠান, যেটি বিশ্বকবি ও তৎপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কর্ম পরম্পরার আদর্শে অনুপ্রাণিত। শিল্পী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা গানের জগতে খ্যাতনামা গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শ্রী রাঘব চট্টোপাধ্যায় এবং পরিবার। ছিলেন শ্রীমতী শীলা চট্টোপাধ্যায় (মাতা), শ্রীমতী অনিতা চট্টোপাধ্যায় (স্ত্রী), দুই কন্যা আনন্দী ও আহিরী চট্টোপাধ্যায়। শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের পিতাও ছিলেন এই মঞ্চে। পরিবারের সকলেই সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার সুবাদে মঞ্চে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সহ বিভিন্ন ধরণের রাগাশ্রয়ী গান। কখনও এককভাবে আবার যুগ্মভাবে পরিবারের সকলের সঙ্গীত পরিবেশনায় দর্শকবৃন্দ হন আনন্দিত মোহিত। মুহূর্মুহু করতালি দিয়ে শিল্পীদের সকলকে অভিনন্দিত করেন। অনুষ্ঠান শেষে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। সমগ্র অনুষ্ঠান সুচারুভাবে পরিচালনা করেন সঞ্চালিকা শ্রীমতী মৌ ভট্টাচার্য্য।