|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কিছুদিন আগেই মন্দিরবাজার এলাকায় এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। আবারও সেই একই অভিযোগ। এবার এক নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল মথুরাপুর থানা এলাকা। ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যেহেতু ওই ছাত্রী নাবালিকা, পকসো আইনে সেই মামলা এগোবে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হয়।বুধবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ির পাশেই খেলা করছিল। তখন সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে এসেছে। অভিযোগ, ১২ বছরের ওই ছাত্রীকে কোনও খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই যুবক ডেকে নিয়ে যান। গ্রামেরই এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যান ওই নাবালিকাকে। একটি খড়ের স্তূপের পিছনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ওই নাবালিকা বাড়িতে ফিরেও আসে।
পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকেই কান্নাকাটি শুরু করে সে। প্রথমে বিশেষ কিছু বলেনি। তবে রাতের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ধীরে ধীরে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয় ওই ছাত্রী। রাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা, মা।কিছুদিন আগে মন্দিরবাজার এলাকায় প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকা। অভিযোগ, সেখানে ওই যুগলকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। একটি ঘরে প্রেমিককে আটকে রেখে পাশের ঘরে ওই তরুণীর সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকিও আসতে থাকে। মথুরাপুর থানা এলাকার ঘটনায়ও একই অভিযোগ ছাত্রীর পরিবারের। অভিযুক্ত শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পলাশ রানা বলেন, “মন্দিরবাজারেও এরকমই ঘটনা ঘটেছিল। তৃণমূলের নেতারা কিছু বলছেন না কেন এ নিয়ে?” অন্যদিকে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য দেবাশিস ঘোষ বলেন, “এই যে ঘটনাগুলো ঘটছে নতুন নয়। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এ ধরনের যে ঘটনাগুলো ঘটে, দোষীরা কি শাস্তি পায়?” যদিও সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের যুব সভাপতি বাপি হালদারের বক্তব্য, “দুনিয়ার সব লোকই তো তৃণমূল করে। সবকিছুর জন্য তাই তৃণমূল দায়ী হবে, এটা কী ধরনের কথা? এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। কেউ ভুলভাল বললে তা নিয়ে কি আমাকে বক্তব্য রাখতে হবে?”