|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে সদ্য নির্মিত হওয়া রাস্তায় বড়বড় গর্ত। ভোগান্তিতে যানবহন চালক থেকে নিত্যযাত্রীরা। পানাগড় থেকে গলসি হয়ে বর্ধমান প্রযন্ত গোটা রাস্তায় বহু জায়গায় বেহাল দশা। তবে বিষয়টি নিয়ে হেলদোল নেই সড়ক কতৃপক্ষের। সেখ গুলজান হোসেন নামে এক ব্যাক্তি বলেন, আগে ফোর লেনের কাজের সময় যে রকম ভালভাবে কাজ হয়েছে। বর্তমানে সিক্স লেনের কাজ তেমন ভাবে হচ্ছেনা। ফোর লেন নির্মানের সময় প্রথমে বালি দিয়ে জল দিত, তারপর পাথর মোরাম দিয়ে বড় বড় মেশিন দিয়ে ভাইব্রেটিং রুলার চালাত। শেষে বেডের ক্ষমতা টেস্ট করে পিচ করতো। এখন সিক্স লেনের ঠিকেদাররা মিলের ছাপ দিয়ে ভরাটি করে দিচ্ছে। ভালভাবে ভাইব্রেটিং করছে না। তাই ছয়মাস যেতে না যেতে বহু জায়গাতে রাস্তা বসে গর্ত হয়ে গেছে। মঙ্গলদ্বীপ সামন্ত নামে এক বাইক চালক বলেন, রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় মেশিন দিয়ে কাজ করলেও কোন যানবাহন নিয়ন্ত্রক রাখছেন না ঠিকা সংস্থা। তাছাড়াও সব আন্ডারপাশের ধারে ও ড্রেন তৈরী স্থল গুলিতে রাস্তার উপরে যত্রতত্র পরে থাকছে ছাই ও কাদামাটি। সেই সব সাফাই করছেনা ঠিকা সংস্থা। ফলে সেই সব উড়ে চোখে ঢুকছে। এরজন্য ব্যাপক সমস্যায় পরছেন মোটর বাইক চালকরা। এদিকে বেশ কয়েকটি জায়গায় ড্রেন ও আন্ডারপাশ নির্মান করার দাবী তুলে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকার মানুষরা। ফলে সড়ক সম্পসারনের কাজের গতিও কমে গিয়েছে। তবে বেশ কিছু জায়গায় কাজ চলছে। অভিযোগকারীদের দাবী, সদ্য নির্মিত রাস্তা দ্রুত সাবাই করুক ঠিকা সংস্থা। তবে বিষয়টি নিয়ে সড়ক কতৃপক্ষ বা ঠিকা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।