|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বৃষ্টি থেমে গেছে , আবহাওয়ার পরিস্হিতির পরিবর্তন হয়েছে, তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল, সবং পিংলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের অবস্থা করুন!
ত্রাণ শিবিরগুলিতে প্রচুর মানুষ আশ্রয়ে রয়েছেন। একদিকে রয়েছে অকাল বর্ষণ , অপরদিকে ডিভিসির জল ছড়ার কারণে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি ঘাটাল সহ পিংলা ও সবং ব্লকের ভেমুয়ার ১০টি গ্রাম এখনও জলের তলায় রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন নদী গুলির দুইকূল ছাপিয়ে চারিদিকে শুধুই বন্যার ছবি সামনে। ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত।পৌর ও গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঘরবাড়ি জলে ডুবেছে।ওই এলাকার মানুষদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম হলো নৌকো।
রবিবার ঘাটালের বিভিন্ন প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে করলেন ঘাটাল লোকসভার সাংসদ তথা অভিনেতা দেব।
এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান “ঘাটালবাসীরা জানেন,আমাদের সরকার গত তেরো বছরে কি ভাবে নদীকে কেটে বড় করা হয়েছে বা পরিষ্কার করা হয়েছে,১৪সালের পরেও ঘাটালে আগে তিনবার, চারবার বন্যা হতো। এখন বন্যা একবার হচ্ছে।যেদিন থেকে বন্যা হয়েছে সেদিন থেকেই প্রশাসনের আধিকারিক সহ স্থানীয় নেতৃত্বদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে খবরা খবর নিয়েছি, গত কয়েক দিনে এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে কয়েক ফিট জল নেমেছে। আমাদের সরকার সর্বত্রভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।শিশুদের খাবার,প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র যোগান দেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা যথেষ্ট তৎপর রয়েছেন।”
পাশাপাশি তিনি জানান, ‘এটা আমার একার লড়াই বা তৃণমূলের লড়াই নয়,এটা ঘাটালবাসীদের লড়াই। শাসক বিরোধী সব দলকেই সর্বত্রভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
এদিন বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বিজেপির নির্বাচিত বিধায়ক তাঁকেও এগিয়ে আসা উচিত। কেন্দ্র সরকার তাঁদের, তারও কিছু প্রস্তাব রাখা উচিত। কেন্দ্র সরকারের প্রতিনিধিদের ও দেখা উচিত এখানে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর দাবি কেনো করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে তাঁরা এলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন ঘাটালবাসী কতটা খারাপ পরিস্থিতিতে আছেন।”
এদিন তিনি ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় নৌকোই চেপে এলাকা পরিদর্শন করেন ও জল বন্দি মানুষদের ত্রান বিলি বন্টন করেন।
পাশাপাশি খড়ার সূর্য কুমার হেমাঙ্গিনী হাইত বিদ্যালয়ের ভগ্নপ্রায় বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন সাংসদ দীপক অধিকারী(দেব)। এদিন তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও খড়ার পৌরসভার কাউন্সিলরকে স্কুলটির নির্মাণের জন্য অর্থ মঞ্জুর করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন।
এদিন সাংসদ ছাড়াও ছিলেন জেলার একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব ও পুলিশ আধিকারিকেরা।
বিকেলে তিনি ঘাটাল থেকে পিংলায় যান, সেখানে গিয়ে বন্যা কবলিত এলাকা গুলি পরিদর্শন করেন, জল বন্দি মানুষদের মধ্যে ত্রান বিলির জন্য
মালিগ্রাম অঞ্চলের কেলেয়াড়া এলাকায় বন্যার্তদের সাহায্যার্থে একটি শিবিরে উপস্থিত হন বলে জানা গেছে।