মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকেই পুলিশি তৎপরতায় জেলাজুড়ে বিপুল পরিমানে উদ্ধার হচ্ছে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকেই পুলিশি তৎপরতায় জেলাজুড়ে বিপুল পরিমানে উদ্ধার হচ্ছে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফরাক্কার হাজারপুর গ্রামের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পিছনের আম ও লিচু বাগান থেকে তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি ব্যাগ ভর্তি বারুদ-সহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও একটি ব্যাগ ভর্তি বোমা পাওয়া যায়। শুক্রবার সকালে বম্ব স্কোয়াড এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। তবে জনবসতিপূর্ণ এলাকা ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পিছনের বাগান থেকে এই বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে কে বা কারা ওই এলাকায় ব্যাগে করে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম এনে রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে জঙ্গীপুর জেলা পুলিশের অ্যান্টি ক্রাইম টিম ও সাগরদিঘী থানার পুলিশ মুণিগ্রামের ঈদগাহমোড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জঙ্গীপুরের এসডিপিও বিদ্যুৎ তরফদার বলেন, ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও সাত রাউন্ড ৭.৬৫ এমএম- এর কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের নাম সুখচাদ শেখ, বাড়ি সাগরদিঘী থানার ফুলবাড়ি, আবুল কাসেম শেখ, বাড়ি লালগোলা ও হাকিম শেখ যার বাড়ি সাগরদিঘীর দোগাছী শেখপাড়ায়। ধৃতদের জঙ্গীপুর আদালতে তোলা হলে ১৪দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই আগ্নেয়াস্ত্র পাচার চক্রে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।অন্যদিকে, বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ-সহ ৩ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল জলঙ্গী থানার পুলিশ ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানার ঘোষপাড়া সর্বপল্লী বিদ্যা নিকেতনের মাঠ থেকে বিপুল পরিমানে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃত আব্দুল রাজ্জাক ও শরীয়ত মণ্ডল জলঙ্গীর ফরাজিপাড়ার বাসিন্দা। আরেক ধৃত আমানত শেখ যতপরমানন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। ধৃত ব্যাক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭ কেজি বোমা তৈরির মশলা, বিস্ফোরক পদার্থ, ১৮ রাউন্ড গুলি ও ২টি খালি ম্যাগাজিন। ধৃত ব্যাক্তিদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার বহরমপুর জেলা আদালতে তোলা হয়। কে বা কারা আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বিস্ফোরক পদার্থ স্কুলের মাঠে ফেলে রেখেছিল, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।