সিরাতের আমফান ত্রান-সাহায্য সন্দেশ খালিতে

সংবাদদাতা : সিরাত সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশনাল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে রাজ্য সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষক আবু সিদ্দিক খানের নেতৃত্বে সন্দেশখালির প্রত্যন্ত গ্রাম রামপুর জুনিয়র হাই মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানে ১৫ টি গ্রামের শতাধিক অসহায় পরিবারের হাতে, চাল, ডাল, তেল, শোয়াবিন, আলু, পিয়াঁজ, লবন, সাবান, স্যানিটাইজার, শুকনো খাবার মুড়ি, চিড়ে, বিস্কুট ইত্যাদী খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয় পাশাপাশি আবাল বৃদ্ধবনিতাদের হাতে পোশাক তুলে দেওয়া হয়। সন্দেশখালি ইউনিটের সভাপতি ইজাজুল আকুঞ্জী ( বাপী) বলেন সিরাতের রাজ্য সম্পাদক ও শিক্ষক আবু সিদ্দিক খান এই এলাকার ভূমি পুত্র, যাঁর অবদান আমরা সবাই জানি,তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল রামপুর সাধারণ পাঠাগার ও মাদ্রাসা। আজ যেভাবে আমফান তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সিরাতের টিম নিয়ে দাঁড়ালেন সেইভাবে আগামীতে আরো বেশি কাজ এই এলাকায় করবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার সম্পাদক আলহাজ্ব আব্বাস আলি খান, সন্দেশখালি ইউনিট কমিটির সভাপতি সেখ ইজাজুল আকুঞ্জী, সম্পাদক আব্দুল খালেক, আব্দুল হাকিম সরদার, শুকুর আলি,মোঃ নিজামুদ্দিন, মহম্মদ কুতুবউদ্দিন, এছাড়া ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী আকবর আলী সিরাতের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল আজিজ অনসারী, সহ সম্পাদক ইসমাইল মন্ডল, হযরত সুমাইয়া মাদ্রাসার মুহতামিম সম্পাদক হাফেজ নাসির উদ্দিন বারাসাত সাব ডিভিশন কমিটির সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম, সহ সম্পাদক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, ফুরফুরা সিলসিলা মিডিয়ার ইমরান আলি, আব্দুল মালেক খান প্রমুখ। সিরাতের রাজ্য সম্পাদক আবু সিদ্দিক খান এই মহতী কাজে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা লকডাউনে যখন মানুষ দুমুঠো খাদ্যর জন্য মানুষ দিশাহারা হয়ে দারে দারে ঘুরছিলো তখন আমরা সিরাত পরিবারের পক্ষ থেকে কখনো অফিস থেকে আবার কখনো পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছি, দুঃখের বিষয় তাঁর রেসটানতে না টানতে আবার আমফান তান্ডবে সহস্রাধিক মানুষ ক্ষতি গ্রস্তের শিকার। রাজ্য সরকারের সহযোগীতার আশ্বাস পেলেও আমরাও অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি গরীব অসহায় পরিবারের সাহায্যে যথাসাধ্য এগিয়ে এলাম সামাজিক দায়িত্ব বোধ নিয়ে। এদিন প্রায় দুশো পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও ২৭ টা পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় হাসনাবাদ হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় ত্রান-সাহায্যে এগিয়ে আসবে সিরাত পরিবার ইনশাআল্লাহ।