তপশিলি টিচার্স ফোরামের সম্মেলন

সোনারপুর,কলকাতা: ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রবিবার দক্ষিণ কলকাতার সোনারপুর বইমেলা প্রাঙ্গণে সফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হল তপশিলি টিচার্স ফোরামের তৃতীয় কেন্দ্রীয় সম্মেলন। শিক্ষাঙ্গনে তপশিলি তথা মূলনিবাসী সমাজের মানুষের সামগ্রিক বঞ্চনা রুখে দিতে ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, ভোকেশনাল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক ও অধ্যাপকদের সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠন প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা সর্বত্র পিছিয়ে রাখা শ্রেণীর অধিকার আদায়ে বদ্ধ পরিকর। অনুষ্ঠানে সমাজের সর্বস্তরের বিশিষ্ট ও গুণী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বহু শিক্ষাবিদ ও শিক্ষানুরাগী মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের সুভারম্ভ হয় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধনী সঙ্গীত এর মধ্যদিয়ে। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী (সুপ্রিমকোর্ট) শ্রী নারায়ণ চন্দ্র দাস, বিশিষ্ট আম্বেদকর বাদী লেখক ও গবেষক পীযুষ গায়েন, দিলীপ গায়েন, জাতীয় স্তরের আম্বেদকরবাদী ক্রীড়াবিদ নন্দলাল পুরকাইত, জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত নাট্যকার ডঃ পলাশ হালদার, সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যাপক ডঃ মণীশ কান্তি বিশ্বাস, বিবেকানন্দ কলেজের অধ্যাপক ডঃ পুলক মণ্ডল, বাঁকুড়ার PRMS মহাবিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক তাপস হালদার, কার্তিক মণ্ডল ও রায়দীঘি কলেজের অধ্যাপক ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আম্বেদকর বাদী শিক্ষক বিনোদ সরদার, তাপস কুমার সরদার, দীনবন্ধু অধিকারী, সৌরভ মণ্ডল, শিবপদ মুণ্ডা, মৃত্যুঞ্জয় সরদার , পার্থ হালদার ও পৌণ্ড্র আর্মির তরুণ তুর্কী সুব্রত নস্কর।

    বিভিন্ন শিক্ষাবিদ ও বক্তাগণ শিক্ষাজগতের নানা বঞ্চনা নিয়ে মুখর হন এবং সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী সেই বঞ্চনা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষকগণ আলোচনা করেন কিভাবে আম্বেদকর মেধা অন্বেষণ পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সাম্যবাদী তথা আম্বেদকরবাদী বিচারধারা পৌঁছে দেওয়া যায়। সর্বসম্মতিক্রমে আম্বেদকর মেধা অন্বেষণ পরীক্ষার পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়।অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে প্রখ্যাত আম্বেদকরবাদী শিল্পী দের কণ্ঠসঙ্গীত(বাবা সাহেবের উপর) উপস্থিত দর্শকদের মন আবেগঘন করে তোলে। অনুষ্ঠানের শেষ আকর্ষণ ছিল আম্বেদকরের উপর নির্মিত যুগান্তকরী নাটক শরণাগত। যার আদ্যপ্রান্ত ছিল বাবাসাহেবের বিচারধারা ও তাঁর লিখিত সংবিধানের বিচারে পরিপুষ্ট। সামগ্রিক ভাবে ফোরামের তৃতীয় কেন্দ্রীয় সম্মেলনের সাফল্য বাংলার প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ও অনুষ্ঠানে আগাম গৃহীত কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন স্থানের আম্বেদকর অনুরাগীদের নতুন উদ্যমে কাজ করতে প্রেরণা যোগাবে সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। জয় ভীম। জয় ভারত। জয় সংবিধান।