অপারেশন থিয়েটারে শিশু মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ালো হুগলির চন্ডিতলা থানার বেগমপুর এলাকার

নিজস্ব সংবাদদাতা : অপারেশন থিয়েটারে শিশু মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ালো হুগলির চন্ডিতলা থানার বেগমপুর এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। মাত্র ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যার কলার বোণে অস্ত্রপচার করতে গিয়ে অপারেশন টেবিলে প্রাণ হারায় সে । চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, এমনই অভিযোগ পরিবারের তরফে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ চিকিৎসক মহল। উত্তর ২৪ পরগনার বিলকান্দা এক নম্বর পঞ্চায়েতের অশোকনগরের বাসিন্দা গোলক সরকারের একমাত্র কন্যা ইশা সরকার।পরিবার সূত্রে খবর, ২১ মার্চ সাইকেল চালানোর সময় পড়ে গিয়ে কলার বোন ভেঙ্গে যায় ৯ বছর বয়সি ইশা সরকারের। তৎক্ষণাৎ বাড়ির লোক তাকে নিয়ে নিকটবর্তী গোলা থানার অন্তর্গত একটি বেসরকারি চিকিৎসালয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সুদীপ্ত পোদ্দারের তত্ত্বাবধানে ইশার চিকিৎসা শুরু হয়। ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় ডাক্তার সুদীপ্ত পোদ্দারের কথা মতোই অস্ত্রোপচারের জন্য হুগলির ডানকুনির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।পরিবারের অভিযোগ, ঐদিন সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের জন্য ইশাকে নিয়ে যাওয়া হয় । দুপুর ২ টোর সময় অস্ত্রোপচার শেষ হয়ে গেলেও পরিবারের কোনো সদস্যকে রোগীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। পরে বিকেল পাঁচটা নাগাদ রোগীর পরিবার ডাক্তারদের অমান্য করে রোগীকে দেখতে গেলে তারা হতভম্ব হয়ে পড়ে। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার সুদীপ্ত রায় জানান রোগী মারা গেছেন। ইশার বাবা সরাসরি অভিযোগ তুলছেন ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। তিনি বলছেন, “ডাক্তারদের চিকিৎসার ভুলের কারণেই আমার জলজ্যান্ত ফুটফুটে মেয়ে টি প্রাণ হারালো”। এই মর্মে তারা ডানকুনি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন।হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, অপারেশন টেবিলেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরবর্তীতে তাকে ভেন্টিলেশনে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ডাক্তাররা তাদের পক্ষ থেকে জানায়, যথাযথ চেষ্টা করেছিল তারা। যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা খুব দুঃখজনক হলেও এতে ডাক্তারদের কোন দোষ নেই।