|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য মেয়েদের শিক্ষিত ও স্বনির্ভর করে তোলা এবং বাল্যবিবাহ বন্ধ করা।কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে
সারা রাজ্যের পাশাপাশি এদিন মালদা জেলাতেও পালিত হল দশম কন্যাশ্রী দিবস। সোমবার দুপুরে মালদা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে কন্যাশ্রী দিবস পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন,জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া, পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেড পি) জামিল ফাতেমা জেবা, সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামং, পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী,জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম, রফিকুল হোসেন, সদস্য সাগরিকা সরকার সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও কন্যাশ্রী দের নিয়ে উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কন্যাশ্রীদের নিয়ে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সমস্ত কন্যারা সাফল্যের মুখ দেখেছেন তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত কন্যাদের পড়াশোনার জন্য বছরে ১০০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করে রাজ্য সরকার। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় ১৮ বছর হওয়ার পর উচ্চশিক্ষার জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। এছাড়া এখন বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও পৌঁছে গেছে এই প্রকল্প। যারা বিজ্ঞান পড়বে তাদের মাসে ২৫০০ টাকা ও যারা কলা বিভাগে পড়বে তাদের মাসে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয় এই প্রকল্পে।দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিস্কপ্রসূত এই প্রকল্প। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রসংঘ কন্যাশ্রী প্রকল্পকে স্বীকৃতি জানিয়ে প্রথম পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।এই প্রকল্প গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প এই কন্যাশ্রী। কন্যাশ্রী মেয়েরা শুধু আমাদের জেলার গর্ব নয়, এরা রাজ্য
তথা দেশের গর্ব এবং সারা পৃথিবীর গর্ব। এই কন্যাশ্রী মেয়েরাই আগামীদিনে জগৎ জয় করতে পারে, সভ্যতা – সংস্কৃতি জয় করতে পারে। কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার পর মেয়েদের স্কুল ছুটের হার অনেক কমেছে, যা মেয়েদের উন্নয়ন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।