দিন বদলের সাথে সাথে বদলেছে বিনোদনের সংজ্ঞা

নিজস্ব সংবাদদাতা : দিন বদলের সাথে সাথে বদলেছে বিনোদনের সংজ্ঞা। একটা সময় ছিল যখন মানুষ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গান, নাটক সিনেমাকে বুঝতো। তারপর এল টেলিভিশন। কিন্তু একুশ শতকের গোড়ার থেকে বিনোদনের মাধ্যম হল সোশ্যাল মিডিয়া। রোজকার দিন যাপনের ভিডিও তৈরী করে মানুষকে বোকা বানানোও হয়ে উঠল আনন্দ আর রোজগারের মাধ্যম। কোভিড পরিস্থিতিতে, দীর্ঘ লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। বদলে গেছে জীবিকা অর্জনের পথ। কেউ বা সুনিশ্চিত অর্থ উপার্জনের পথ ছেড়ে নতুন কিছু করার তাগিদে বানাচ্ছেন ভিডিও,আপলোড করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু মাত্র নিজেদের রোজগারের পথ সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই নয় , রোজকার একঘেয়ে জীবনে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেবার জন্যে পথে নামল ডোমকল মহকুমার কিছু যুবক। যদিও মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুরের বিভিন্ন এলাকায় এই যুবকদের দেখা মিলছে। এই কাজে যুবকদের মধ্যে একজন জোকার সেজে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাদের মনোরঞ্জন করবার চেষ্টা করছেন । শুধু তাই নয় বহরমপুর শহরের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ারে মাঠে কিছু যুবক পথ চলতি ছেলে মেয়ে ও সাধারণ মানুষদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন। সেই দৃশ্য আবার ক্যামেরাবন্দি করছেন সঙ্গী কিছু যুবক। আর তারপরেই সেই ভিডিও আপলোড করছেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। জোকার সেজে সাধারণ মানুষের এই মনোরঞ্জন করার প্রচেষ্টা মন কেড়েছে নেটিজেন সহ আমজনতার। কোভিড মহামারি পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে চেনা ছন্দের জীবন। দীর্ঘ লকডাউনের ট্রমাতে মানুষ হারিয়েছে স্বাভাবিক স্থিতি। নিশ্চিত চাকরি হারিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্লগ বানিয়ে আর্থিক পথ সুনিশ্চিত করছেন অনেকেই। সেই পথেই হেঁটেছেন ডোমকলের এই যুবকরা। তবে শুধু বহরমপুর শহরেই নয়, মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই শ্যুট চলছে। যদিও তাঁদের কথায়, বহরমপুরে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসেন তাই জেলার এই সদর শহরেই তাঁদের কর্মকাণ্ড বেশি। তাঁদের এই কাজকে কেও সমর্থন করছেন, কেও বা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তাতে অবশ্য দুঃখ নেই যুবকদের। এই হুকো মুখো হ্যাংলার দুনিয়াতে তাঁরা যে মানুষের মনোরঞ্জন করে চলেছেন এতে খুশি প্রকাশ করেছেন সকলেই।