পুজোর মুখে খুশির জোয়ার মুখোশ গ্রামে!

নিজস্ব সংবাদদাতা : জানেন কি পুরুলিয়ার কোন গ্রামকে মুখোশ গ্রাম বলা হয়? আবার কেনই বা বলা হয়ে থাকে এমন। এমনিতে প্রায় সকলেই কম বেশি জানেন যে পুরুলিয়া জেলা ছৌ নাচের জন্য বিখ্যাত। আর এই ছৌ নাচ যারা করেন সেইসমস্ত শিল্পীরা নাচ করে থাকেন বিভিন্ন রংবেরঙের মুখোশ পরে।

     

    আর এইসমস্ত মুখোশের অধিকাংশই তৈরি হয় যে গ্রামে সেই গ্রামের নাম হল চরিদা। অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত চরিদা গ্রাম। এই গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের বাস। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ছৌ মুখোশ তৈরি করে থাকেন। তাই এই গ্রামের অপর নাম মুখোশ গ্রাম।কমবেশি প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা হয়ে থাকে এই মুখোশ গ্রামে। ঘর সাজানোর জন্য অনেকেই এই মুখোশ কিনে থাকেন শিল্পীদের কাছ থেকে। তবে দুর্গাপুজো উপলক্ষে শিল্পীদের বাড়তি কাজের সুযোগ মেলে। রোজগারও হয় ভাল। এ বিষয়ে এক ছৌ মুখোশ শিল্পী জানান, প্রায় প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর সময় পুরুলিয়া জেলার ছৌ মুখোশ পাড়ি দেয় ভিন জেলা ও ভিন রাজ্যে।

     

    অপর এক ছৌ মুখোশ শিল্পী জানান, কলকাতা থেকে দুর্গাপুজোর জন্য মুখোশের অর্ডার এসেছে। ছৌ মুখোশ দিয়ে সাজানো হবে পুরো প্যান্ডেল। এমনকি দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের প্রবেশদ্বারও হবে মুখোশ দিয়ে। আমরা কয়েকজন সেখানে গিয়ে সেই কাজ করে আসবো।আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে দুর্গাপুজোয়। তাই জোর কদমে মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা ‌। বিপুল পরিমাণে মুখোশের বরাত না মিললেও, দুর্গাপূজোয় বেশ কিছু জায়গা থেকে কম বেশি কিছু কাজের বরাত মিলেছে। দুর্গাপুজোর সময়য়েও বহু পর্যটক পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসেন। তাই মুখোশ শিল্পীরা আশায় বুক বাঁধছেন সেই সময়ও তাদের রোজগার ভাল হবে বলে।