ট্রেনের ধাক্কায় দম্পতির মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য আদিনা স্টেশনে

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: এক দম্পতির ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য আদিনা স্টেশনে। আত্মহত্যা বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকেরা। শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয় তাঁরা। তারপর শনিবার সকালে ওই দম্পতির মৃত্যুর খবর পান পরিবারের লোকেরা। চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ওই দম্পতির মৃত্যু হয়ে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ঘটনার সময় এক বন্ধুকে মোবাইলে মৃত্যুর ধারাভাষ্য দিতে দিতে চলন্ত ট্রেনের কাছাকাছি গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই দম্পতি বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

    পরে পরিবারের লোকেদের খবর দেওয়া হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসেন তাঁরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি গাজোল থানার আলমপুর এলাকার। জানা গেছে, মৃত স্বামীর নাম ফিলিপ মুর্মু ও স্ত্রীর নাম নন্দিতা হাঁসদা(‌১৪)‌। সংশ্লিষ্ট থানার পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোলপাড়ায় বাড়ি তাঁদের। প্রেম করে বিয়ে তাঁদের। বছর খানেক নিজেরা পালিয়ে বিয়ে করে। পরে যদিও দুই পরিবার মেনে নেয় তাঁদের। ফিলিপ স্থানীয় একটি নার্সারিতে মজুরের কাজ করতেন। পরিবারের লোকেদের মুখে শোনা যায়, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁরা বাড়ি থেকে বের হন। নন্দিতার দাদা স্বাধীন কিসকু অসুস্থ। গাজোল থানার রানীগঞ্জ-‌২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়ায় বাড়ি তাঁর। দাদাকে দেখতে যাচ্ছেন বলে তাঁরা বাড়ি থেকে বর হন। তারপর তাঁদের কোনও খোঁজখবর নেই। শনিবার সকালে ফোন করে তাঁদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদিনা স্টেশন লাগোয়া ২ নম্বর গেটের কাছে গভীর রাতের দিকে আপ লাইনের ধারে ওই দম্পতির দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

    ফিলিপের মাথায় চোট ছিল এবং নন্দিতার মুখে চোট দেখা যায়। রাত ৩টা নাগাদ রেল পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে মালদা মেডিক্যালের মর্গে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা পরিবার। মৃত ফিলিপের দাদা চার্লেস মুর্মু বলেন, ‘‌বাড়িতে কারোর সঙ্গে কিছুই ঘটে নি। আমরা সকালে জানতে পারছি, শুক্রবার সন্ধে ৬টা নাগাদ এক বন্ধুকে ফোন করে ভাই। ফোনে তাদের একসঙ্গে আত্মহত্যার কথাও বলে। এ প্রান্ত থেকে বন্ধুটি কোন জায়গায় তাঁরা রয়েছে, জিজ্ঞেস করলেও জানায় নি ভাই। আত্মহত্যা করতে বারণ করলেও শোনেনি তারা। আমাদের সন্দেহ স্বামী-‌স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোলের কারণেও আত্মহত্যা করে থাকতে পারে তারা।