২৫ ডিসেম্বরের আগে ঘরে ফেরা হবে না উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের

দেবজিৎ মুখার্জি: ক্রিসমাস অর্থাৎ আগামী ২৫ ডিসেম্বরের আগে ঘরে ফেরা হবে না উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের। সাফ জানালেন উদ্ধারকাজের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আর্নল্ড ডিক্স। তিনি আরও জানান, সুড়ঙ্গের ভিতরে খননযন্ত্র অগার আটকে যাওয়াতেই বিপত্তি। বাকি অংশ হাতে কাটতে সময় লাগবে অনেক বেশি। এর ফলেই শ্রমিকদের ‘দুঃস্বপ্নে’র প্রহর বাড়ছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী জানিয়েছেন, রবিবার সকালের মধ্যে খননযন্ত্রের ভাঙা অংশ কেটে বের করা সম্ভব হবে। তার পরেই শুরু হবে মূল কাজ।

    শনিবার সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ ডিক্স বলেন, “অগার সম্পূর্ণ নষ্ট বা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই বারবার বাধার মুখে পড়ছিল যন্ত্রটি।” তথাপি অগারই পথ বের করেছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে অগার যন্ত্র দিয়ে ৪৮ মিটার খনন করে ঢোকা সম্ভব হয়েছে। এখনও বাকি ১২-১৪ মিটার। এই অংশই হাতেই কাটতে হবে। বিকল্প পদ্ধতিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিক্স বলেন, ক্রিসমাসের আগে ঘরে ফেরা হবে না শ্রমিকদের। উল্লেখ্য, সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা লোহার বিমে খননযন্ত্রের ব্লেডে জড়িয়ে গিয়েছিল। ব্লেডগুলি ভেঙে যায়। সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যন্ত্রটি। অগার যন্ত্রের সেই ব্লেডের ২৩ মিটার অংশ কেটে বার করা হয়েছে। এখনও ২৫ মিটার কেটে বার করা বাকি রয়েছে।

    উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী জানিয়েছেন, রবিবার সকালের মধ্যে বাকি অংশটুকু কেটে বার করে নেওয়া হবে। তার পর শাবল, গাঁইতি দিয়ে পের সুড়ঙ্গ খোড়ার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেছেন, শ্রমিকরা সুস্থ আছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন উদ্ধারকারীরা।

    প্রসঙ্গত, উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল ওই সুড়ঙ্গটি। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে আচমকাই ধস নামে। আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলারও তিনজন রয়েছেন।