প্লাস্টিক মুক্ত সুন্দরবন গড়ার লক্ষে আজকের অঙ্গীকার

বাবলু হাসান লস্কর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: প্লাস্টিক মুক্ত সুন্দরবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সাথে সমাজ কর্মীদের উদ্যোগে আজ সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার কুলতলিতে সেমিনার। কৈখালি রামকৃষ্ণ আশ্রম সন্নিকটে জেলা পুলিশ ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে প্লাস্টিক মুক্ত সুন্দরবন গড়ার লক্ষ্যে এই অভিনব উদ্যোগ । প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে সুন্দরবন কে টিকিয়ে রাখতে এ লড়াইয়ে সর্বস্তরের মানুষ দের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এমনই আশাবাদী এলাকার পরিবেশবিদরা বিশ্ব ঐতিহ্য এই সুন্দরবন স্বমহিমায় বিশ্ব মানচিত্রে আজীবনকাল ধরে স্থান দখল করুক । পর্যটকরা যে সমস্ত জায়গায় ভিড় জমায়, আজ যশ নামক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ত্রাণ দিতে আসা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক রা বেশি বেশি ক্ষতি করছেন । জুতা যত্রতত্র প্লাস্টিক পলিব্যাগ ও বোতল জলের বোতল ফেলে রেখে যাচ্ছেন আর সেই সমস্ত প্লাস্টিকের জলের বোতল ও ব্যাগ জোয়ারে ভেসে চলেছে । বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর যে সমস্ত স্থানগুলি, আজ সেই সমস্ত জায়গায় হাজির হচ্ছেন ত্রাণ দিতে আসা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তারা। প্লাস্টিক ফেলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছেনএমনই দাবি করছেন এলাকার পরিবেশবিদরা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল মুক্ত করতে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ত্রাণ দিতে আসা সমস্ত জায়গায় প্লাস্টিক কুড়িয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গা রাখার ব্যবস্থা করছেন ।আগামী দিনে এই সমস্ত প্লাস্টিক গুলি কে দিয়ে অন্য কোন কাজে লাগানো যায় কিনা তা গবেষণা করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যে ভাবে অধিকমাত্রায় প্লাস্টিক নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন আগামী দিনের ক্ষতির কারণ হবে এমনি আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় প্রশাসন। এই ক্ষতির হাত থেকে আসছেন আগামী সুন্দরবনকে রক্ষা করতে আজ কের এই উদ্যোগ । যাতে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার গুলিতে প্লাস্টিক মুক্ত রাখা যায় এমন অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলেন কুলতলির প্রশাসনের কর্মকর্তার সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার কৈখালী খেয়াঘাট এমনই উদ্যোগ দেখে এলাকার মানুষ কুর্নিশ জানায়।