প্রকৃতির রোশানলে তছনছ উত্তর সিকিম, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যাহত বিপাকে পর্যটকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : সিকিমে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি, হড়পা বান, তিস্তার ভয়াল রূপ, উত্তর সিকিমে তাণ্ডব লীলা তিস্তার । প্রসঙ্গত জানা গেছে, মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের অন্তর্গত লোনাক হর্দ সংলগ্ন এলাকায় হরপা বান, জলস্তর বেড়ে যায়। সেই জল তিস্তায়, যার কারনে ব্যাপক জলস্ফীতি , ধ্বংসলীলা চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। সংলগ্ন এলকার একটি সেনা ছাউনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন সেনা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদেরকে উদ্ধার করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে প্রশাসন। জলের কারণে ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে, জলের তোরে ভেসে গিয়েছে গাড়ি। প্রচুর মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তিস্তার এই ভয়াল রূপ দেখলে শিহরিত হতে হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আপাতত সমতল থেকে সিকিমে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন, উদ্ধার কার্যবাহিনী উদ্ধার কার্য নেমেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি হড়পা বান , তিস্তার জলস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় লীলা চালায়। প্রচুর মানুষ গৃহহীন হয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা, সামনেই রয়েছে পুজোর মরশুম । প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে সিকিমে। উত্তর সিকিম হল পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য। লাচেন, লাচুন নিয়ে পর্যটকরা যেতে পছন্দ করেন। তবে পর্যটকরা গিয়ে যে এরকম দৃশ্য দেখবেন তারা তা কল্পনাও করতে পারেননি। এদিকে শিলিগুড়িতে এসে রাজ্যের ও ভিন রাজ্যের প্রচুর পর্যটক বিপাকে পড়েছেন। সমতল শহর শিলিগুড়ি থেকে সিকম পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে ।প্রসঙ্গত তিস্তার গতিপথে রয়েছে গজলডোবা ব্যারেজ ,ও দোমোহিনী জলপাইগুড়ি ,মেখলিগঞ্জ। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সংলগ্ন এলাকা গুলি প্লাবিত হতে পারে, এই জন্য আগেভাগেই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ও নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরের রীতিমতো মাইকিং করে সাধারণ মানুষদের সতর্ক করা হয়। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন।