ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ বাড়িতে পৌছালেন সাংসদ অহলুআলিয়া

আজিজুর রহমান, পূর্ব বর্ধমান: উড়িষার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত খোকন সেখের দেহ গ্রামের বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুরেন্দ্রর সিং অহলুআলিয়া। পাশাপাশি দুর্ঘটনার পর থেকে আজ প্রযন্ত তার চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। ৩৮ বযসী খোকন পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের ভাটাকুল গ্রামের বাসিন্দা। মৃতের স্ত্রী বুল্টি খাতুন জানিয়েছেন, ২ রা জুন দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনে তার স্বামী কেরলায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনা সে আহত হয়েছিল। তারপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলেন তারা। ওই সময় তিনি সাংসদ অহলুআলিয়া সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার স্বামীর খোঁজ করে তার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেছিলেন। তবে শুক্রবার রাতে আচমকা তার স্বামী মারা যান। এরপরই তিনি সাংসদকে ফোন করে জানাতেই সাংসদ একটি পৃথক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে তার স্বামীর দেহ বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করে দেন। তিনি বলেন, যখনই যা কিছু সাহায্য চেয়ে ফোন করেছি তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাছাড়া নিত্য খোঁজ রেখেছেন তার স্বামীর চিকিৎসার। এমনকি আজকেও তার বাড়িতে এসেছেন। তিনি এই উপকার কোনদিন ভুলবেন না। নিকট আত্মীয় মহম্মদ হাসান বলেন, খোকনের খবর মিলতেই অহলুআলিয়া জী বুল্টি খাতুন ও তার বাবাকে কটকের হাসপাতালে পাঠানো ব্যবস্থা করেন। সেখানে খোকনের ব্রেনে অস্ত্রোপচার হয়। তখন থেকে পাইপের মাধ্যমে খাবার খেত খোকন। এরপর বেশ কিছুটা শারিরীক উন্নতি হয়েছিল। কিছুদিন পূর্ব তার হাতের একটি অপারেশন হয়। তিনি বলেন, দুইদিন আগে হঠাৎ তার শারিরীক অবনতি হতে শুরু হয়। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে মারা যান খোকন। এরপর কটক থেকে খোকনের দেহ ভাটাকুলে আনার ব্যবস্থা করেন সাংসদ। শনিবার সকালে দশটা নাগাদ খোকনকে কবরস্থ করা হয়। সাংসদের এমন কাজের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সেখ নুর ইসলাম, সেখ সবিরুল সহ গ্রামের বহু মানুষ। সবিরুল বলেন, আগে দুইলাখ ও কালকে আটলাখ টাকার সরকারি ক্ষতিপুরনের চেক দিয়েছেন সাংসদ। আজকে আবার তিনি ব্যক্তিগত ভাবে অর্থ সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, সমাজে এমন মানুষের খুব প্রয়োজন। আমি নিজেই কতবার ফোন করেছি। সবসময় ফোন ধরে সহযোগিতা করেছেন। আমরা সকল গ্রামবাসী ওনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। স্থানীয় বাসিন্দা মতিয়র রহমান বলেন, শুধু খোকন নয় এই এলাকার দশ বারোজন ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পরেছিল। সকলকেই সাংসদ অহলুআলিয়া সহযোগিতা করেছেন। চিকিৎসার সাথে সাথে ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি সকলের বাড়িতে এসে খবর নিয়েছেন। সাংসদ সুরেন্দ্রর সিং অহলুআলিয়া বলেন, মানুষ আমাকে জন প্রতিনিধি করেছেন। এটা আমার দায়িত্ব ছিল। আমি জানতে পারার পরই রেল দপ্তরকে বলে চিকিৎসার জন্য সবরকম সহযোগিতা করেছি। বুল্টি খাতুন ও তার বাবাকে কটকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আজকে ট্রেনে দেহ আনা কষ্টের হত বলে দুটি গাড়ি দিয়ে দেহ আনিয়েছি। পরবর্তীতে পরিবারটির যদি কোন সাহায্য লাগলে আমি ওদের পাশে থাকবো।